দামুড়হুদায় বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতি, আহত ১

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ঘরের চাল উড়ে গেছে, আসবাব আগুনে পুড়ে গেছে। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছেন গৃহকর্তা আবদুল হাকিম (৪৫)। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটাকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে।

বোমার আঘাতে আবদুল হাকিমের মাথার সম্মুখভাগ জখম হয়েছে। বাঁ পায়ের হাড় ভেঙে গেছে এবং ডান হাতের মধ্যমা আঙুল উড়ে গেছে। তাঁর সারা শরীর আগুনে ঝলসে গেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে স্বজন ও প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিস্ফোরণে ঘরের চাল উড়ে গেছে ও আসবাব আগুনে পুড়ে ঝলসে গেছে।

সদর হাসপাতালের পরামর্শক চিকিৎসক এহসানুল হক জানান, বোমা বিস্ফোরণে জখম আবদুল হাকিমের অবস্থা সংকটাপন্ন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বেলা একটায় পুলিশি প্রহরায় তাঁকে রাজশাহী পাঠানো হয়েছে।

বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘরের ভেতরের আসবাব পুড়ে গেছে। টিনের চাল উড়ে গেছে। ঘরে মেঝে ও উঠানে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। ঘরে বারুদের ঝাঁজালো গন্ধ।

কয়েকজন প্রতিবেশীর তথ্যমতে, আবদুল হাকিম মহিষ পালেন ও ব্যবসা করেন। বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনে তাঁরা এ বাড়িতে ছুটে আসেন। এসে দেখেন, ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় আবদুল হাকিম পড়ে আছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় নিকটাত্মীয়রা তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। আবদুল হাকিমের স্ত্রী ফরিদা খাতুন ওই সময় স্বামীর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন।

আবদুল হাকিমের বড় ভাই আইজাল হোসেনের স্ত্রী বুলবুলি জানান, ঘটনার সময় তাঁর মেয়ে সান্ত্বনা খাতুন (১৩) পাশের ঘরে ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে ধোঁয়ার সৃষ্টি হলে ভয়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, ‘শব্দ শুনে ও ধোঁয়া দেখে ভেবেছিলাম, বিদ্যুতের মিটার বিস্ফোরিত হয়েছে। ওই সময় বিদ্যুৎ ছিল না। ঘর থেকে মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে সেবা করে সুস্থ করি। কারা দেবর হাকিমকে নিয়ে গেছে জানি না।’

খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার মো.মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, দামুড়হুদা সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল ও দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বোমা বিস্ফোরণে আবদুল হাকিম আহত হয়েছেন। তবে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর পুরোপুরি জানা যাবে।