ছাত্রকে 'ব্ল্যাকমেল' করে চাঁদা দাবির অভিযোগ

রাজশাহী মহানগর কমিটি থেকে বহিষ্কৃত এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, টাকা না দিলে তিনি ওই শিক্ষার্থী ও তাঁর বান্ধবীর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভাইরাল’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। আর এভাবে তিনি তিন দিন ধরে ওই শিক্ষার্থীর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন।

মহানগর ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনটি থেকে বহিষ্কৃত ওই ব্যক্তির নাম আসলাম সরকার ওরফে রাজু। তিনি ২৬ নম্বর ওয়ার্ড মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। প্রায় দেড় বছর আগে তিনি শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত হন। তাঁর বাড়ি নগরের মেহেরচণ্ডী এলাকায়।

অভিযোগকারী নাসির উদ্দিন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন মেহেরচণ্ডী এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে থাকেন। তিনি নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টরের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। তিনি এখন নিরাপত্তাসংকটে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে থাকছেন।

নাসির উদ্দিন অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার বিকেলে ক্যাম্পাসে তিনি তাঁর জন্মদিন পালন করেন। অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর রাজশাহী কলেজের এক বান্ধবীকে আসতে বলেছিলেন। তবে তাঁর বান্ধবী আসতে পারেননি। সন্ধ্যার দিকে তাঁর বান্ধবী উপহার দিতে মেহেরচণ্ডী এলাকায় আসেন। তখন আসলামসহ কয়েকজন জোর করে তাঁদের দুজনকে নাসিরের রুমে নিয়ে যান। তখন ওই বাসার বেশির ভাগ সদস্য বাইরে ছিলেন।

ওই তরুণেরা নাসির ও তাঁর বান্ধবীর কাছ থেকে মুঠোফোনসেট ও টাকা কেড়ে নেন। এরপর তাঁরা দুজনকে বসিয়ে একসঙ্গে ছবি তোলেন। ২০ হাজার টাকা না দিলে তাঁরা ছবিগুলো ইন্টারনেটে ‘ভাইরাল’ করে দেওয়ার হুমকি দেন। তিনি (নাসির) তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর কাছে থাকা ৬০০ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁরা মঙ্গলবার (আজ) বিকেলের মধ্যে টাকা দিতে বলে তাঁদের ছেড়ে দেন। গত রোববার রাতে আসলাম আবার তাঁর কাছে এসে ১০ হাজার টাকা দিতে চাপ দেন। নাসির টাকা দিতে সম্মত হলে আসলাম চলে যান। নাসির রাতেই বিষয়টি তাঁর কয়েকজন বন্ধু ও সাংবাদিককে জানান।

অভিযুক্ত আসলাম যে নম্বর থেকে নাসিরকে ফোন করেছিলেন সেই নম্বরে গতকাল একাধিকবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।