কিশোরী ধর্ষণের দায়ে তরুণের যাবজ্জীবন

কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জেলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল জজ অম্লান কুসুম জিষ্ণু মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন।

সাজা পাওয়া ব্যক্তির নাম মাসুদ রানা (২০)। তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বাসিন্দা। পেশায় তিনি গাড়িচালক।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিতি ছিলেন।

আদালত ও মামলার সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার এক কিশোরীকে (১৫) মাসুদ রানা নানাভাবে অশালীন প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তবে এতে ওই কিশোরী সাড়া না দেওয়ায় রানা খেপে যান। এরপর ২০০৮ সালের ১০ অক্টোবর ভোররাতে ওই ছাত্রীর শোবার ঘরের বেড়া কেটে ভেতরে প্রবেশ করেন মাসুদ। পরে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে কিশোরী নিজে বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ২৬ জানুয়ারি আদালতে মামলা করে। আদালত তৎকালীন কুড়িগ্রাম পৌর সভার মেয়রকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচার শুরু হয়। এরই মধ্যে ওই কিশোরী পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। তবে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত থাকেন রানা। ২৬ জুলাই ২০১০ সালে সাক্ষী শুরু হয়। এ সময় আসামি অভিযোগ অস্বীকার করেন। ৬ মার্চ ২০১২ ওই পুত্রসন্তানের ডিএনএ টেস্ট করা হলে মাসুদ রানার সঙ্গে মিলে যায়। এরপরই এ রায় আসে।

রায় ঘোষণার পর ন্যায়বিচার পাওয়ায় এ মামলার বাদী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বলে জানান নারী ও শিশু আদালতের পিপি আবদুর রাজ্জাক।