প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার দুই আবেদন

প্রিয়া সাহা সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সম্প্রতি অভিযোগ দেন। ছবি: সংগৃহীত
প্রিয়া সাহা সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সম্প্রতি অভিযোগ দেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে ঢাকার আদালতে পৃথক দুটি মামলার আবেদন করেছেন দুই আইনজীবী। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আজ রোববার এই আবেদন করা হয়।

প্রিয়া সাহা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক। গত বুধবার ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান উধাও হয়ে গেছেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহায্য চান। সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রিয়া সাহার অভিযোগকে পুরোপুরি মিথ্যা ও কাল্পনিক বলেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে ঢাকার আদালতে পৃথক দুই মামলার আবেদনকারীরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সায়্যেদুল হক সুমন ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম খলিল।

আদালত সূত্র বলছে, প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে মামলার দুই বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন আদালত। বিষয়টি পরে আদেশের জন্য রেখেছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারায় মামলা আমলে নেওয়ার আবেদন করেছেন বাদীরা। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিও আবেদন করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।

ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক দ্বিতীয় সম্মেলনে যোগ দেন প্রিয়া সাহা। ১৬ থেকে ১৮ জুলাই এই সম্মেলনের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া গতকাল শনিবার ঢাকায় পৃথক অনুষ্ঠানে প্রিয়া সাহার বক্তব্যকে ‘উসকানিমূলক’ হিসেবে অভিহিত করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানান।

প্রিয়া সাহার পৈতৃক বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারি গ্রামে। তাঁর স্বামী সরকারি কর্মকর্তা। তাঁদের দুই মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছেন। দলিত সম্প্রদায়ের অধিকারভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘শারি’র নির্বাহী পরিচালক তিনি। দলিত কণ্ঠ নামে একটি মাসিক পত্রিকার সম্পাদকও তিনি।