নওগাঁয় 'ছেলেধরা' সন্দেহে ছয়জনকে গণপিটুনি

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় ছেলেধরা সন্দেহে ছয় ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ওই ছয় ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। আজ রোববার সকালে উপজেলার বুড়িদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গণপিটুনির শিকার ছয় ব্যক্তি হলেন নওগাঁ সদর উপজেলার খাগড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেন, তসলিম হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আবদুল মজিদ আকন্দ ও আনিছুর রহমান এবং সদর উপজেলার ফারতপুর গ্রামের রেজাউল করিম।

স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল আটটার দিকে এই ছয়জন উপজেলার বুড়িদহ গ্রামের রণজিৎ কুমার চৌধুরীর পুকুরে চুক্তিভিত্তিক মাছ ধরতে যান। পুকুরের মালিকের সঙ্গে তাঁদের চুক্তি ছিল যে তাঁরা শুধু ছোট মাছ ধরবেন। কিন্তু তাঁরা কয়েকটি বড় মাছও ধরে ফেলেন। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে পুকুরমালিকের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পুকুরের মালিক ও গ্রামের লোকজন ছয় জেলেকে মারধর করতে শুরু করেন। তাঁরা নিজেদের বাঁচাতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় গ্রামের লোকজন ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার করতে শুরু করলে আরও লোকজন ছুটে গিয়ে প্রথমে সাদ্দাম হোসেন নামের এক জেলেকে আটক করেন। ‘ছেলেধরা’ পালিয়ে গেছে খবর রটে গেলে পাশের খুদিয়াডাঙ্গা গ্রামের লোকজন অন্য পাঁচজন জেলেকে আটক করে পিটুনি দেয়।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গ্রামবাসী ‘ছেলেধরা’ গুজব রটিয়ে ছয় ব্যক্তিকে মারধর করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তাঁরা এখন থানা হেফাজতে আছেন। ঘটনা তদন্তে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

জেলার পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এটা পুরোপুরি গুজব। এ ধরনের গুজবে কাউকে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’