৫ সংস্থার ১৩ প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়

ওয়াসা
ওয়াসা

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) ঢাকা ওয়াসার বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প ছিল ১১টি। সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এর মধ্যে ৫টি প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলছেন, সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের কাজ ঠিকমতো না করায় এবং দায় এড়ানোয় প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ছে।

রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আজ রোববার আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই) ও দেশের চারটি ওয়াসার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) বাস্তবায়ন পর্যালোচনার জন্য এ সভা আয়োজন করা হয়।

সভায় জানানো হয়, ডিপিএইচই-এর ৪টি, ঢাকা ওয়াসার ৫টি, চট্টগ্রাম ওয়াসার ২টি, খুলনা ও রাজশাহী ওয়াসার ১টি করে প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। যেসব প্রকল্পের অগ্রগতি মন্থর সেগুলোর প্রায় সবগুলোই সুপেয় পানি সরবরাহ সংক্রান্ত প্রকল্প। এর মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকলেও অগ্রগতি খুবই কম।

প্রকল্পের অগ্রগতি আশানুরূপ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের কাজ ঠিকমতো না করায় এবং দায় এড়ানোয় প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ছে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না করতে পারলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্থর বাস্তবায়নের তালিকায় থাকা ঢাকা ওয়াসার সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১৫ সালের জুলাইতে। মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুনে। প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪ শতাংশ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, জমি অধিগ্রহণ জটিলতা, উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঋণচুক্তি না হওয়ায় প্রকল্পের কাজে অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়নি।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মহাপরিচালক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, একটি প্রকল্প নিলে জনগণের মধ্যে প্রত্যাশা তৈরি হয়। প্রকল্পের শেষ সময়ে এসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কাজ শেষ হয়নি। কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হলে ব্যয় বেড়ে যায়। দেখা যায়, জুন মাসে একসঙ্গে অনেক প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জমা পড়ে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।