ধর্মঘট প্রত্যাহার, নৌযান চলাচল স্বাভাবিক

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ রুটে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। তবে ২৪ জুলাই বিকেলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সকাল বেলা, নদীবন্দর, বরিশাল। ছবি: সাইয়ান
বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ রুটে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। তবে ২৪ জুলাই বিকেলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সকাল বেলা, নদীবন্দর, বরিশাল। ছবি: সাইয়ান

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ রুটে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধসহ বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের নৌযান ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। এতে দেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ৪৩টি নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল।

বিকেলে নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, বেলা সাড়ে চারটায় নৌযান শ্রমিকেরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিলে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম বলেন, নৌপথের যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে দফা দাবি আদায়ের পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ দিকে ধর্মঘট চলার সময় অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান বলেন, নৌযান শ্রমিকদের মূল দাবিগুলো মেনে নিয়ে লঞ্চমালিকপক্ষ ২০১৬ সালে নৌযান শ্রমিকদের সঙ্গে পাঁচ বছরের একটি চুক্তি করেছিল। সে চুক্তির মেয়াদ আজও শেষ হয়নি। তিনি বলেন, ঈদ সামনে রেখে নৌযানশ্রমিকেরা মানুষকে জিম্মি করে অযৌক্তিক দাবিদাওয়া দিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন।