ফারুক হত্যা মামলায় সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ছাত্রলীগের নিহত কর্মী ফারুক হোসেন
ছাত্রলীগের নিহত কর্মী ফারুক হোসেন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন হত্যা মামলার শুনানিতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ শুনানি হয়।

২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল দখল নিয়ে শিবিরের ক্যাডাররা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালান। এ সংঘর্ষে শিবিরের নেতা-কর্মীরা ফারুককে খুন করে লাশ শাহ মখদুম হলের পেছনের ম্যানহোলে ফেলে রাখেন। একই রাতে ছাত্রলীগের আরও তিন কর্মীর হাত-পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়। এঁরা হলেন বাংলা বিভাগের সাইফুর রহমান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফিরোজ মো. আরিফুজ্জামান ও রুহুল আমীন। আসাদুর রহমান নামের ছাত্রলীগের আরেক কর্মীকে শিবিরের ক্যাডাররা হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ ঘটনার পর থেকে তিনি দৃষ্টিহীন।

ঘটনার পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে শিবিরের ৩৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও অনেক শিবির নেতা-কর্মীসহ মোট ১০৭ জনকে আসামি করে নগরের মতিহার থানায় একটি মামলা করেন। ২০১২ সালের ৩০ জুলাই রাজপাড়া থানার তৎকালীন ওসি জিল্লুর রহমান চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আসামিদের মধ্যে ৬০ জন জামিনে রয়েছেন। আদালতে আজ কয়জন উপস্থিত ছিলেন, তার সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।

এ মামলার শুনানির জন্য গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে। বেলা ১১টার দিকে তাঁকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। হুইল চেয়ারে করে তাঁকে বিচারকক্ষে আনা হয়। বিচারক এনায়েত কবীর সরকার এ শুনানি করেন।

সরকারি কৌঁসুলি সিরাজী শওকত সালেহিন জানিয়েছেন, ১০৭ আসামির বিরুদ্ধে আজ অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।