গণপিটুনিতে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ৭০ শতাংশ বিএনপি-জামায়াতের: তথ্যমন্ত্রী

ন্যাপের (ভাসানী) ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তন, ঢাকা, ২৫ জুলাই। ছবি: পিআইডি
ন্যাপের (ভাসানী) ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তন, ঢাকা, ২৫ জুলাই। ছবি: পিআইডি

রাজনৈতিকভাবে পরাজিত কুচক্রী মহল পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিশু অপহরণের গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ গণপিটুনির ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, গণপিটুনির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ন্যাপের (ভাসানী) ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করায় এই কুচক্রী মহলটি রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে এখন গুজব ছড়াচ্ছে যে “পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য শিশু বলি” প্রয়োজন।’

বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন মহাসড়কে রয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের এই ব্যাপক উন্নয়ন ও পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রশংসা করছে। কিন্তু পরাজিত কুচক্রী মহলটি এ উন্নয়ন দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েছে।’ তিনি বলেন, দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করায় এই স্বার্থান্বেষী মহলটি এখন বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা গুজব ছড়াচ্ছে যে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে এক লাখ শিশুর বলি প্রয়োজন।

এই গুজবকে জঘন্য ও বিপজ্জনক অপপ্রচার উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী গণপিটুনির ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এই গণপিটুনির সঙ্গে জড়িত কয়েকজন দুষ্কৃতকারীকে গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তার অপরাধীদের ৭০ শতাংশই বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীদের পাশাপাশি এই গুজব ছড়ানোর পেছনে মূল হোতাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ এই দুষ্কৃতকারী ও অপরাধীদের প্রতিরোধ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের পাশাপাশি তাঁর দলও বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দলের নেতা–কর্মীরা বন্যাদুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার বন্যাদুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে। কিন্তু বিএনপি ও গণফোরামের ত্রাণ কার্যক্রম শহরের প্রেসক্লাব ও নয়াপল্টন এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তিনি বিএনপির দৃশ্যমান ত্রাণ তৎপরতার সক্ষমতার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ন্যাপের (ভাসানী) চেয়ারম্যান এম এ ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও সাবেক আইনপ্রণেতা নাজমুল হক প্রধান।