বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার দাঁতের চিকিৎসা

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করার একদিন পরে দলটির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার দাঁতের চিকিৎসা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) দন্ত বিভাগে নিয়ে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়।

পরে চিকিৎসকেরা বলেছেন, এখন আর তাঁর দাঁতের সমস্যা নেই। তাঁকে ‘মাউথওয়াশ’ দেওয়া হয়েছে। এটি দিয়ে প্রতিদিন কুলি করতে বলা হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনকে।

দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের সাজা খাটছেন খালেদা জিয়া। অসুস্থতার কারণে তাঁকে বিএসএমএমইউয়ের কেবিন ব্লকে রেখে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ শনিবার তাঁর দাঁতের চিকিৎসা হলো।

বিএসএমএমইউর ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সি ফেসিয়াল বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম বিএনপি চেয়ারপারসনের দাঁতের চিকিৎসা করেন।

হাসপাতাল সূত্র বলছে, আজ বেলা দেড়টার দিকে খালেদা জিয়াকে কেবিন ব্লক থেকে মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালের দন্ত বিভাগে নেওয়া হয়। হুইল চেয়ারেই তিনি বসা ছিলেন।

গতকাল শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার দাঁতের চিকিৎসার প্রয়োজন। তাঁর দাঁত চোখা হয়ে গেছে। সেটা যখন তার জিবে আঘাত করে তখনই তিনি কষ্ট পান। ফলে তিনি কিছু খেতেও পারছেন না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দাঁতে রুট ক্যানেল, স্কেলিং, টুথ এস্ট্রাকশন করা দরকার। তাঁর দুই-একটা দাঁত নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলো তুলে ফেলা দরকার।

বিএসএমএমইউয়ে সংবাদ সম্মেলন:

বিএনপি চেয়ারপারসনের দাঁতের চিকিৎসার পর বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের ওপরের মাড়ির দুটি দাঁতে ইরিটেশন হচ্ছিল। এ কারণে জিবে ছোট আকারে ঘা হয়েছে। চিকিৎসার মাধ্যমে দাঁতের সমস্যাটা দূর করা হয়।

বিএসএমএমইউর পরিচালক বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা হচ্ছ। তাঁর অবস্থা দিনে দিনে ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, ক্রনিক ডিজিসগুলো ডায়াবেটিকস, আর্থারাইটিস এসব রোগ শতভাগ ভালো করা কঠিন। এসব ‘মিরাক্যালি’ ভালো হয়ে যাবে সেটাও নয়।

মাহবুবুল হক বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগে যেভাবে এসেছিলেন, তার চে্য়ে বেটার, ডেফিনেটলি বেটার আছেন।’

ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিফেসিয়াল বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, তাঁর কয়েকটা ভাঙা দাঁতের শেকড় রয়ে গিয়েছিল। জিবে যে জায়গাটায় ঘা ছিলো তার থেকে আরেকটা জায়গায় ছোট একটা ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর ওপরের দুটি দাঁতের ভাঙা অংশ ধারাল ছিল। সেটি সমান করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চিকিৎসার পর ম্যাডামের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কেমন বোধ করছেন। খালেদা জিয়া তখন বলেছেন, এখন তিনি আর কোনো সমস্যা অনুভব করছেন না।