কানুনগো,রাজউকের ইমারত পরিদর্শক ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ৪ মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার এক কানুনগো, রাজউকের একজন ইমারত পরিদর্শক এবং এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আলাদা চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলা চারটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

মামলার এজাহারের তথ্যমতে, প্রায় সাড়ে ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সরকারি কর্মচারী হয়েও পরিচয় গোপন করে ব্যবসা করার অভিযোগে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কানুনগো মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। অবৈধ সম্পদের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ২৫ লাখ ৬ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৭০৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া, সরকারি কর্মচারী (পাবলিক সার্ভেন্ট) হওয়া সত্ত্বেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নিজের পরিচয় গোপন করে ব্যবসা করার অভিযোগে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে।
৪২ লাখ ৭২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো. বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তাঁর বিরুদ্ধে ৪৫ লাখ ২০ হাজার ৫২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৪২ লাখ ৭২ হাজার ১৩ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ তিনটি মামলারই বাদী সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম।
এ ছাড়া দুদককে অসহযোগিতার অভিযোগে এশিউর প্রোপার্টিজ লিমিটেডের মালিক মো. শেখ সাদীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদীন। মামলার তথ্যমতে, তিনি দুদককে মামলাসংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সরবরাহ না করে অসহযোগিতা করেছেন। এ বিষয়ে তিনবার নোটিশ দেওয়া হলেও কোনো রেকর্ডপত্র সরবরাহ কিংবা হাজির হয়ে বক্তব্য দেননি তিনি। এমনকি নোটিশের জবাবও দেননি। রেকর্ডপত্র না পাওয়ায় ধারাবাহিকভাবে তদন্তকাজে বিঘ্ন ঘটেছে।