স্ত্রী হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম বিজন মণ্ডল (৪৭)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙা গ্রামের বাসিন্দা। রায়ে ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বাদী অনিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, এ রায়ে তিনি খুশি। উচ্চ আদালতে যাতে এ রায় বহাল থাকে, সেই আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

তবে বিজনের মেয়ে বিশাখা মণ্ডল ও ছেলে জগন্নাথ মণ্ডল দাবি করেন, তাঁর বাবা নির্দোষ।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আসাদুল্লাহ আসাদ বলেন, নয়জন সাক্ষীর মধ্যে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী নেই। ফলে, এ ধরনের রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।

জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি তপন কুমার দাস বলেন, আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিচারক সবদিক বিবেচনায় নিয়ে রায় দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে আশাশুনি উপজেলার ফকরাবাদ গ্রামের কঙ্কাবতী মণ্ডলের (৪০) সঙ্গে একই উপজেলার গোয়ালডাঙা গ্রামের বিজন মণ্ডলের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে বিজন মণ্ডল পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। প্রতিবাদ করায় কঙ্কাবতীর সঙ্গে বিজনের প্রায়ই বিরোধ হতো। এরই জেরে ২০১৭ সালের ১০ জুন রাত ১১টার দিকে কঙ্কাবতীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বিজন। এ ঘটনায় নিহত নারীর বাবা অনিল কৃষ্ণ মণ্ডল ১১ জুন রাতে জামাতা বিজন কুমার মণ্ডলসহ অজ্ঞাতনামা তিন আসামির বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় মামলা করেন। ১২ জুন স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে বিজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পুলিশ ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।