পিচঢালা সড়ক ভেঙে ক্ষতবিক্ষত

বন্যার পানির তোড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে সড়ক। চলাচলের উপায় নেই। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের রাউজানের ডাবুয়ায়। এস এম ইউসুফ উদ্দিন
বন্যার পানির তোড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে সড়ক। চলাচলের উপায় নেই। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের রাউজানের ডাবুয়ায়। এস এম ইউসুফ উদ্দিন

৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পিচঢালা সড়ক। সড়কটির ৫ থেকে ৬ শ ফুট অংশ ভেঙে পাশের খালের সঙ্গে মিশে গেছে। সড়কের কোনো অস্তিত্ব এখন এখানে নেই। এ কারণে যানবাহন চলাচল দূরে থাক হেঁটে চলাচলও করাও যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক বন্যায় এমন বেহাল দশা হয়েছে সড়কটির। চট্টগ্রামের রাউজানের ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া গণিরঘাট সড়কের চিত্র এটি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সড়কটি দিয়ে ডাবুয়া, চিকদাইর, নোয়াজিশপুর ও গহিরা ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করে। এটি ভেঙে যাওয়ায় এখন এ চার ইউনিয়নসহ ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া ও গণিরঘাটসহ অন্তত আট গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, পিচঢালা সড়কটির জাকারিয়া চৌধুরী বাড়ি এলাকায় ৫ থেকে ৬ শ ফুট অংশ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এ অংশজুড়ে সড়কের কোনো অস্তিত্ব নেই। সড়কের ওই অংশে ৫ থেকে ৭ ফুট গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে গাড়ি চলাচল দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করতে পারছে না স্কুল–কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ আট গ্রামের অন্তত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহের বন্যায় সড়কটি ভেঙে ধানি জমির সঙ্গে মিশে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি স্কুল–কলেজে যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সড়কটি ভেঙে যাওয়ার কারণে চার ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। 

পাঁচটি স্কুল–কলেজ, মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম বেকায়দায় পড়েছে। সড়কটি সংস্কারে দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সড়কটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্তা খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে বন্যার পানির স্রোতে সড়কটি ভেঙে যায়। সড়কটি সংস্কারে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। 

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, বন্যায় রাউজানে অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে গণিরঘাট সড়কটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ এলে কাজ করে চলাচল উপযোগী করা হবে সড়কটি।