দুই উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুজনের মৃত্যু

মৌলভীবাজারের জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলায় মঙ্গলবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া দুজন হলেন জুড়ী উপজেলার খাকটেকা গ্রামের রুপাই দাস (২৮) ও কুলাউড়া উপজেলার কোরবানপুর গ্রামের আবদুস সোবহান (৫০)। এ ঘটনার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের লাইনকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে রুপাই দাসসহ তিন শ্রমিক বালুবোঝাই নৌকা নিয়ে জুড়ীর সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের একটি বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ওই গ্রামের পাশে নিশ্চিন্তপুরে বিদ্যুতের তার পানিতে পড়ে ছিল। এলাকাটি অতিক্রম করার সময় বাঁশের লগি তারের সঙ্গে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রুপাই দাস।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

বেলা ১১টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার কোরবানপুর গ্রামে বাড়ির পাশে পানিতে নেমে গবাদিপশুর খাবারের জন্য ঘাস তুলছিলেন আবদুস সোবহান। একপর্যায়ে একটি খুঁটিতে টানা দেওয়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন তিনি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিডিবির কুলাউড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শামস ই আরেফিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যুর খবর তাঁরা পেয়েছেন। হাকালুকি হাওর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। সেসব সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পানি কমে গেলে কাজ শুরু হবে।

এ ছাড়া নিখোঁজের দুই দিন পর ২০ জুলাই জুড়ীর মনোহরপুর এলাকায় ভাসমান অবস্থায় শিপুল মিয়া (২৫) নামের স্থানীয় শাহপুর গ্রামের এক যুবকের লাশ পাওয়া যায়। তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানান।