নীলফামারীতে ১৫টি গাছ লুটের অভিযোগ

কেটে নিয়ে যাওয়া কয়েকটি গাছের গোড়া। গতকাল নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
কেটে নিয়ে যাওয়া কয়েকটি গাছের গোড়া। গতকাল নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে রেললাইনের ধারের ১৫টি বড় গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আটটি গাছের কাটা খণ্ড বন বিভাগ উদ্ধার করেছে। বাকি সাতটি গাছ গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি।

স্থানীয় লোকজন ও বন বিভাগ সূত্র জানায়, ১৫ জুলাই চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ভারত সীমান্তের শূন্যরেখা পর্যন্ত ৬ দশমিক ৬ কিলোমিটার পরিত্যক্ত রেললাইনের নির্মাণকাজ শুরু করেছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে চিলাহাটি এলাকায় লাইনের ধারে থাকা সরকারি গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হকের নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন গাছগুলো কাটা হয়েছে। বন বিভাগ আটটি গাছের কাটা খণ্ড উদ্ধার করলেও বাকি গাছগুলো উদ্ধার করতে পারেনি। গাছগুলোর দাম আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকা।

গোসাইগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে চেয়ারম্যানের লোকজন পিকনিক খেয়ে গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে।

বন বিভাগের গোসাইগঞ্জ বিটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের বলেন, ‘রেললাইনের ধারের ১৫টি মূল্যবান গাছ লুট হওয়ার অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে আটটি গাছের ৩৫টি খণ্ড উদ্ধার করেছি। বাকি সাতটি উদ্ধারে অভিযান চলছে। গাছগুলো উদ্ধার হওয়ার পরদিন রাতে চেয়ারম্যান একরামুল হক আমার কার্যালয়ে এসে হুমকি দেন। আমরা তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে একরামুল হক ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আহসান মোর্শেদের সম্পৃক্ততা পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

জানতে চাইলে জাকির হোসেন ও আহসান মোর্শেদ বলেন, তাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান একরামুল হক বলেন, ‘সেদিন গাছ কাটার কথা শুনে রাত ১১টার দিকে গিয়ে কাউকে পাইনি। আমি কোনোভাবে এর সঙ্গে জড়িত না। প্রতিপক্ষ হেয়প্রতিপন্ন করতে আমাকে জড়িয়ে এসব বলছে। রেললাইনে যারা বাস করত, তারাই এসব গাছ কেটে সরিয়ে নিয়েছে অথবা বিক্রি করেছে।’