নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে শিশুশিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ

.
.

চট্টগ্রাম নগরের পাঠানটুলি খান সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নৈশপ্রহরী দীপক দে কে আসামি করে ডবলমুরিং থানায় মামলা হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টায় এ ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত নৈশপ্রহরী দীপক দে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এসে তাঁদের শান্ত করেন।


বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পাঠানটুলি খান সাহেব সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম একই ভবনে পরিচালিত হয়। প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয় সকাল সাতটা থেকে। শিক্ষার্থীরা তাই সাড়ে ছয়টা থেকে আসা শুরু করে। শিক্ষার্থীদের চারজন বিদ্যালয়ের চতুর্থ তলায় অবস্থান করছিল। শিক্ষকসহ অন্য কেউ না থাকার সুযোগে বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী দীপক তাদের শ্লীলতাহানি করে। এ সময় শিশুরা চিৎকার শুরু করলে নিচে থাকা কয়েকজন অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কর্মী দৌড়ে আসেন। এর মধ্যেই পালিয়ে যান দীপক।

এ বিষয়ে ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিপি মহাজন বাদী হয়ে ওই নৈশপ্রহরীকে আসামি করে মামলা করেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

পাঠানতুলী খান সাহেব সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর পরই দীপক দে পালিয়ে যান। তিনি সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত কর্মচারী। তাঁর বিষয়ে সিটি করপোরেশনে জানানো হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাদের জানিয়েছেন। তবে ভাগ্য ভালো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। ওই নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি শিক্ষক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের অভিভাবকদের সঙ্গে সভা করার জন্য বলা হয়েছে। শিক্ষকেরা আসার পরই শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’