ডেঙ্গুতে স্বামী গেছেন আগেই, এবার স্ত্রী আইসিইউতে

ঢাকায় ছেলের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর স্ত্রীও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।

এই স্কুলশিক্ষকের নাম আবদুল ওয়াহেদ (৭৫)। তিনি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আহসানউল্লাহ আহসানগঞ্জ স্মারক বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাড়িও আত্রাই উপজেলায়। তাঁর স্ত্রীর নাম আকিকুন্নাহার (৬৫)। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ঢাকায় এক ছেলের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন।

ওয়াহেদের এক ছেলে আনোয়ারুল হাসান বলেন, মাত্র দুই দিনের জ্বরে তাঁর বাবা গত ২৩ জুলাই ঢাকাতেই মারা গেছেন। তাঁরা কোনো চিকিৎসা করার সুযোগই পাননি। গত রোববার তাঁদের মা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই দিন রাতেই তাঁরা মাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। মঙ্গলবার তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।

আইসিইউর ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, আকিকুন্নাহারের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। বুধবার একটু উন্নতি হয়েছে। তবে ডেঙ্গুর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ডায়াবেটিসও আছে। এই কারণে তাঁর অবস্থা জটিল।

এদিকে রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ওই হাসপাতালে ৮১ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতাল থেকে বুধবার ৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, হাসপাতালে এখনো সরকারিভাবে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ স্ট্রিপ সরবরাহ করা হয়নি। তাঁরা বাইরে থেকে প্রতিটি স্ট্রিপ ২৫০ টাকা দরে কিনেছেন। জ্বরে আক্রান্ত রোগী এলে ডেঙ্গু সন্দেহ হলে তাদের পরীক্ষা করছেন। তাদের কাছ থেকে শুধু স্ট্রিপের ২৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষার পর যদি কোনো রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়, তাহলে তার সব খরচ হাসপাতাল বহন করছে।