হাজী দানেশের তিন বিদেশিসহ নয় শিক্ষার্থী বহিষ্কার

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় আবাসন ও শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের ৪৭–তম সভায় বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত সোমবার সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানানো হয়।

বহিষ্কারাদেশ বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মাহাবুর হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক সেমিস্টারের জন্য পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলো। বহিষ্কৃতরা হলেন, রয়েছেন এমবিএ বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল আলম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিন ইয়ামিন সুফি ও নাফিউল হাদি বাঁধন, বিএসএস অনুষদের জান্নাত ই নাঈম এবং বিবিএ সেমিস্টার-২ এর মাহামুদুল হাসান সজীব।

গত ৮ এপ্রিল, এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শেখ রাসেল হল এবং শেখ রাসেল এক্সটেনশন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সে সময় ঘটনাস্থলে সহকারী প্রক্টর ড. মাহাবুর রহমান উপস্থিত হলে কিছু শিক্ষার্থী তার ওপরে চড়াও হয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে দুই বছরের (চার সেমিস্টার) জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে স্থাপত্য বিভাগের ধীরাজ কুমার ও প্রকৌশল বিভাগের জয় যাদব নামের দুজন শিক্ষার্থীকে এবং এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন ভেটেরিনারি বিভাগের কুলদ্বীপ শর্মা। সেই সঙ্গে ওই তিন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ চলাকালে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে রোভার স্কাউটের অনুষ্ঠানে এক নারী রোভার সদস্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের শিক্ষার্থী আহাকামুল আকমাম বাঁধনকে।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর ফজলুল হক বলেন, তদন্ত করেই এই শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অপরাধীর একমাত্র পরিচয় সে অপরাধী। তার অন্য কোনো পরিচয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নেই।