কুলাউড়ায় যুবকের লাশ উদ্ধার

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রনি শর্মা (২৮) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের বিজলি গ্রামের বাসিন্দা রণজিৎ শর্মার ছেলে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রনির লাশ উদ্ধার করা হয়। কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন আল রশীদ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রনি টিলাগাঁও বাজারে রেলস্টেশন সড়কে অবস্থিত যন্ত্রাংশ বিক্রির একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। ওই দোকানের মালিক স্থানীয় বাসিন্দা ফরহাদুল হক। বিকেল চারটার দিকে পাশের এক দোকানদার রনিকে ফরহাদুলের দোকানের মেঝেতে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তখন রনি একাই দোকানে ছিলেন। পরে পাশের ওই দোকানদার মুঠোফোনে বিষয়টি ফরহাদুলকে জানান। খবর পেয়ে ফরহাদুল ও রনির স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রনিকে প্রথমে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি ঘটলে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁকে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে কুলাউড়া থানার পুলিশ গিয়ে রনির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রনি মারা গেছেন।

কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন আল রশীদ রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত রনির মাথার পেছনে ডান পাশে জখম দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ মৌলভীবাজার জেলা সদরের ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। দোকানমালিক ফরহাদুল হক বলেন, তিনি সকালে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে চলে যান। খবর পেয়ে সেখান থেকে দ্রুত আসেন। হঠাৎ করে রনির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তিনি কোনো কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না।

রনির বাবা রণজিৎ শর্মা বলেন, তাঁর ছেলে প্রায় আট বছর ধরে ওই দোকানে কাজ করেন। রাতে রনি দোকানেই থাকতেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতে যেতেন। রনির সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ আছে কি না, সেটা তাঁর জানা নেই। রনি শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান রাত সোয়া ১১টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার পর এই ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।