ভিক্ষুকের টাকা ছিনতাই!

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় এক ভিক্ষুকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির তৎপরতায় এরই মধ্যে ওই ভিক্ষুকের ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

আহত ভিক্ষুকের নাম কফিল উদ্দিন (৭২)। তিনি উপজেলার বড় বিহানালী ইউনিয়নের কুলিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, কুলিবাড়ি গ্রামের কফিল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তিনি মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। একটি চটের ব্যাগ, একটি লাঠি ও টিনের কৌটা নিয়ে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করতেন তিনি। চুরি বা হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে ভিক্ষা করে জমানো টাকা চটের ব্যাগে করে নিজের কাছেই রাখতেন তিনি।

কফিল উদ্দিনের বরাতে স্থানীয়রা বলছেন, সারা দিন ভিক্ষা করে গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে কুলিবাড়ি গ্রামের মাঝামাঝি পৌঁছালে তাঁকে অনুসরণ করা এক তরুণ ধাক্কা দেন। এ সময় কফিল মাটিতে পড়ে গেলে ওই তরুণ তাঁকে কিল-ঘুষি মেরে টাকার থলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা কফিল উদ্দিনকে উদ্ধার করেন এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমানের কাছে পৌঁছে দেন।

বড় বিহানালী ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতেই চেয়ারম্যান কফিলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেন এবং টাকা উদ্ধারে খোঁজখবর শুরু করেন। ওই এলাকার লোকজনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের পরে পাশের মুরারীপাড়া গ্রামের শান্ত হোসেনকে (২১) ডেকে নিয়ে আসা হয়। চেয়ারম্যানের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শান্ত ভিক্ষুকের টাকার থলে ছিনতাই করার কথা স্বীকার করেন এবং টাকা ফেরত দেন। আজ শনিবার দুপুরে এই ঘটনায় সালিস বসান স্থানীয় চেয়ারম্যান। বখাটে শান্ত হোসেনের অভিভাবকদের পরিষদে ডেকে আনা হয়। এ সময় শান্ত ভিক্ষুকের টাকা ছিনতাইয়ের বর্ণনা দেন। পরে তাঁকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। টাকার থলে ভিক্ষুককে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

বড় বিহানালী ইউপির চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ভিক্ষুককে মারপিট করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি অমানবিক। থলেতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ছিল। খুচরা টাকা হওয়ায় সব গোণা সম্ভব হয়নি। কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় টাকাগুলো পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে শান্ত এ ধরনের কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়াবে না বলে মুচলেকা দিয়েছে।