ট্রেন ধরতে স্টেশনে যাওয়ার পথে খুন হলেন ফারদিন

নিহত কলেজছাত্র ফারদিন। ছবি: সংগৃহীত
নিহত কলেজছাত্র ফারদিন। ছবি: সংগৃহীত

ট্রেনে উঠে বন্ধু রিপন মোহন্ত দেখেন, ফারদিন ট্রেনে ওঠেননি। ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার আগে ফোন দিলেন ফারদিনের নম্বরে। কিন্তু ফারদিন নন, ফোনের ওপাশ থেকে কথা বলে পুলিশ। ফারদিন কোথায় জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, খুন হয়েছেন ফারদিন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজশাহীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফারদিন ইসনা আশারিয়া রাব্বি (১৯) রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে তিনি।

নিহত ফারদিনের বন্ধু রিপন মোহন্ত জানান, তাঁদের দুজনের বাড়ি একই গ্রামে। একই কলেজে পড়েন তাঁরা। মঙ্গলবার সকালে তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঈদের ছুটিতে একসঙ্গে বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে এলেও ফারদিনকে দেখতে না পেয়ে তাঁর নম্বরে ফোন দেন তিনি। পরে পুলিশের কাছে জানতে পারেন, ফারদিন খুন হয়েছেন। তৎক্ষণাৎ ট্রেন থেকে নেমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে বন্ধু ফারদিনের লাশ দেখতে পান তিনি।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার ভোর ছয়টার দিকে রাজশাহী নগরের হেতেমখাঁ ও বর্ণালি মোড়ের মাঝামাঝি সড়ক থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। স্টেশনে যাওয়ার পথেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ফারদিন। তাঁর মাথার পেছন দিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ছাত্রাবাস থেকে বের হওয়ার পরপরই বোনের সঙ্গে কথা হয় ফারদিনের। কিন্তু এর কয়েক মিনিট পরেই তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গোলাম রুহুল কুদ্দুস আরও বলেন, মৃতদেহের পাশে ফারদিনের মুঠোফোন ও মানিব্যাগ পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে নয়, বরং পূর্বশত্রুতার জেরে খুন হয়েছেন তিনি। তদন্তের পর ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। নিহতের পরিবারের সদস্যরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।