শুল্ক কর্মকর্তা-ব্যবসায়ীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ১৮ মামলা

দুদক
দুদক

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সাবেক ৭ শুল্ক কর্মকর্তা, ১৪ জন ব্যবসায়ীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো করেন দুদকের তিন কর্মকর্তা।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এক পণ্যের ঘোষণা দিয়ে আরেক পণ্য এনে তাঁরা শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন। তাতে ২ কোটি ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৪৮৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে।

মামলার এজাহার সূত্র জানা যায়, ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালে মোট ১৮টি ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়েছে। মামলাগুলোতে বাদী হয়েছেন দুদকের দুই সহকারী পরিচালক আফরোজা হক খান ও শেখ গোলাম মাওলা এবং উপসহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সাবেক সাত রাজস্ব কর্মকর্তা প্রাণবন্ধু বিকাশ পাল, শফিউল আলম, হুমায়ূন কবির, সাইফুর রহমান, মোহাম্মদ সফিউল আলম, নিজামুল হক ও সৈয়দ হুমায়ূন আখতারকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শফিউলকে পাঁচটি, প্রাণবন্ধু বিকাশ পালকে চারটি, হুমায়ূনকে তিনটি, সাইফুরকে দুটি, নিজামুলকে দুটি, সফিউলকে একটি ও হুমায়ুনকে একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে।

যেসব আমদানিকারককে আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন আবুল হাসনাত, এম এ আলীম, মমিনুল ইসলাম, নুরুল আলম, মুসা ভূইয়া, ফোরকান আহমেদ, জ্যোতির্ময় সাহা, ফাহাদ আবেদীন সোহান, জহুরুল ইসলাম, সাহিদুর রহমান, আইনুল হক, মোহাম্মদ কাসিফ ফোরকান, রুবেল আহমেদ ও জহিরুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে ফোরকান, জ্যোতির্ময়, সাহিদুর ও কাসিফকে দুটি করে এবং বাকিরা প্রত্যেকে একটি করে মামলায় আসামি হয়েছেন।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে মোহাম্মদ হারুন শাহ সাতটি, মইনুল আলম চৌধুরী চারটি, মির্জা মো. আহসানুজ্জামান ছয়টি ও সাইফুল ইসলামকে একটি করে মামলায় আসামি করা হয়েছে।