শিশুদের দিয়ে মোবাইল চুরি করাতেন চার নারী?

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মোবাইল চুরির অভিযোগে রাজধানীর শাহ আলী এলাকা থেকে চার নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার গ্রেপ্তার হওয়া ওই চার নারীকে মঙ্গলবার ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

চার নারী হলেন রীনা বেগম (২৫), আমেনা খাতুন (২২), মাহমুদা আক্তার (৩০) ও রাহেলা খাতুন (৪৫)।

শাহ আলী থানার পুলিশ ঢাকার আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে চার নারী স্বীকার করেছেন, তাঁরা ছোট ছোট বাচ্চাকে দিয়ে বিভিন্ন বাসা থেকে মোবাইল চুরি করান। রীনা বেগমের কাছ থেকে তিনটি চোরাই মোবাইল পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আমেনার কাছ থেকে দুটি, মাহমুদার কাছ থেকে দুটি ও রাহেলার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে।

তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, আসামিরা নিজেদের শিশুসন্তানসহ আত্মীয়স্বজনের বাচ্চাদের নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করেন। বিভিন্ন বাসার নিচতলা বা মেসের দরজা খোলা পেলে শিশুরা মোবাইল ফোন চুরি করে। আসামি রীনার এক বোন (১২), তাঁর ছেলে (৩), আমেনার বোন (১০), মাহমুদার মেয়ে (১০) ও তাঁর বোনের ছেলে (১১) এবং রাহেলার মেয়েকে (৭) আটক করা হয়। এই বাচ্চাদের দিয়ে ওই চার নারী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন।

মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার তৌহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ওই চার নারীর বিরুদ্ধে শাহ আলী থানায় মামলা করেন। মামলায় তৌহিদুল দাবি করছেন, তিনি মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বাসা থেকে বের হয়ে যান। বাসায় ছিল তাঁর ভাতিজা পারভেজ। তখন পারভেজ ঘুমাচ্ছিল। সাড়ে ৯টার সময় এসে দেখেন, বাসায় তাঁর ভাতিজা পারভেজের মুঠোফোন নেই। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে গিয়ে দেখেন হট্টগোল। এলাকার লোকজন চার নারীসহ ছয় শিশুকে আটক করেছে। স্থানীয় লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে চার নারী স্বীকার করেন, শিশুদের দিয়ে তাঁরা মুঠোফোন চুরি করান। ওই নারীদের কাছে তাঁর ভাতিজার মুঠোফোন দেখতে পান। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে কৌশলে মোবাইল ফোন চুরি করে আসছিলেন।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন, অনেক দিন ধরে এই চার নারী শিশুদের দিয়ে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে আসছিলেন।