নীল জলের 'মিনি কক্সবাজার'

রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের তীর ঘেঁষে পলওয়েল পার্কের ভেতর একটি ভাস্কর্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাহাড়ি নারীর জীবনধারা। গত সোমবার সকালে।  ছবি: সুপ্রিয় চাকমা
রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের তীর ঘেঁষে পলওয়েল পার্কের ভেতর একটি ভাস্কর্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাহাড়ি নারীর জীবনধারা। গত সোমবার সকালে। ছবি: সুপ্রিয় চাকমা

অনিন্দ্য সুন্দর রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। এই হ্রদ দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ছুটে আসেন অসংখ্য পর্যটক। পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়াতে হ্রদ ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে একটি পর্যটনকেন্দ্র। সারা দিন হ্রদে ঘোরার পর একটু বিশ্রাম নিতে পর্যটকেরা ভিড় করছেন পলওয়েল পার্কে। এখানকার কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামবে এই পার্কে।

রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারের জেলা প্রশাসকের বাসভবন এলাকায় পার্কটির অবস্থান। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পার্কটি উদ্বোধন করা হয়। আড়াই একর জায়গার ওপর গড়ে ওঠা এই পার্ককে অনেকেই নাম দিয়েছেন ‘মিনি কক্সবাজার’। জেলা পুলিশের উদ্যোগে এই পার্কটি নির্মিত হয়েছে। পার্কের একজন কর্মকর্তা বললেন, পার্কের পাড়ে কিছুক্ষণ বসে থাকলে হ্রদের নীল জলের ঢেউ আপনার গা ভিজিয়ে দেবে।

জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র জানায়, রিজার্ভ বাজারে পুলিশকে জায়গা বরাদ্দ দেয় জেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর ২০১৮ সালের জুন মাসে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশের অর্থায়নে এক কোটি টাকা ব্যয়ে শুরুতে লাভ পয়েন্ট, ভুতুড়ে পাহাড়ের গুহা, কৃত্রিম ঝরনা, হিলভিউ পয়েন্ট, লেকভিউ পয়েন্ট, মিনি চিড়িয়াখানা, ফিশিং পয়েন্ট, ক্রোকোড্রাইল ব্রিজ নামে আকর্ষণীয় স্পট গড়ে তোলা হয়। অতি সম্প্রতি রাত্রিযাপনের জন্য বানানো হয়েছে ছয়টি কটেজ। আছে সুইমিংপুলও। এ ছাড়া হ্রদের পাড়ে পর্যটকদের গোসল ও বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিশেষ জায়গা তৈরি করা হয়েছে।

এই পার্কে ঢুকতে ১০ টাকা লাগে। মোটামুটি সারা দিনই পার্ক খোলা থাকে। তবে ভিড় বাড়তে থাকে বিকেলের দিকে। গত বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, শিশুসহ নানা বয়সের বিনোদনপ্রেমী ভিড় করেছেন। পর্যটকের ভিড় বেশি দেখা গেল লাভ পয়েন্ট ও ক্রোকোড্রাইল ব্রিজে। চট্টগ্রাম থেকে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে পার্কে বেড়াতে এসেছেন ইফতেখার উদ্দিন। পেশায় ব্যবসায়ী ইফতেখার জানালেন, পর্যটকেরা সারা দিন সুবলং ঝরনা ও হ্রদের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে পলওয়েল পার্কে আসছেন।