বাঘাইছড়িতে জেএসএস-লারমার দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় গতকাল রোববার রাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। তাঁরা দুজন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-এমএন লারমা) নেতা।

নিহত দুজন হলেন স্বতঃসিদ্ধ চাকমা ও এনো চাকমা। স্বতঃসিদ্ধ চাকমা জনসংহতি সমিতির সহযোগী সংগঠন যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং এনো চাকমা ওই সংগঠনের উপজেলা কমিটির সদস্য।

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা শহরের বাবুপাড়া এলাকায় একটি অবকাশযাপন কেন্দ্র আছে। সেখানে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাত সোয়া ১১টার দিকে হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বতঃসিদ্ধ চাকমা ও এনো চাকমা নিহত হয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে তাঁদের লাশ উদ্ধার করেন।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, স্বতঃসিদ্ধ চাকমা ও এনো চাকমা জেএসএস-এমএন লারমার পক্ষের রাজনীতি করেন। বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে তাঁরা দলের সংস্কারপন্থী অংশের সক্রিয় সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জনসংহতি সমিতি-এমএন লারমা দলের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকজন নেতাকে একাধিকবার ফোন করলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।

বাঘাইছড়ির কেউ কেউ বলেছেন, জনসংহতি সমিতির মূল দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা এই দুজনকে হত্যা করেছেন। তিন পার্বত্য জেলায় এ রকম হত্যা-পাল্টা হত্যা কয়েক বছর ধরে চলে আসছে।

বাঘাইছড়ি থানার ওসি বলেন, নিহত দুজনের বাড়ি বঙ্গতুলিতে হলেও তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা সদরে থাকতেন। তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না, তাঁর জানা নেই। কারা তাঁদের হত্যা করেছেন, তা তদন্তে জানা যাবে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে।

এদিকে আমাদের দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি জানান, দুই নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জেএসএস–লারমার পক্ষের যুব সংগঠন যুব সমিতি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে লারমা স্কয়ারে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জ্ঞান চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেএসএস–লারমার পক্ষের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও বোয়ালখালী (সদর) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা, যুব সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেএসএস নেতা সমীর চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের উপজেলা সভাপতি সনেন্টু চাকমা প্রমুখ।