চট্টগ্রামের মূল সড়কের সব বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে, দাবি মেয়রের

কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম দেখছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। কাজীর দেউড়ি, ১২ আগস্ট। ছবি: জুয়েল শীল
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম দেখছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। কাজীর দেউড়ি, ১২ আগস্ট। ছবি: জুয়েল শীল

আজ সোমবার বিকেলের মধ্যেই নগরের মূল সড়ক থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। 

আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় নগরের আন্দরকিল্লায় চট্টগ্রাম আইন কলেজের সামনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান করপোরেশনের মেয়র।

বিকেল পাঁচটার মধ্যে নগরের প্রধান সড়কগুলো এবং রাত আটটার মধ্যে অলিগলির কোরবানির বর্জ্য পুরোপুরি অপসারণ করার ঘোষণা দিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশেন।

মেয়র আ জ ম নাছির আজ বেলা ৩টায় নগরের দামপাড়া থেকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শুরু করেন। তিনি হেঁটে হেঁটে নগরে আলমাস সিনেমা মোড়, কাজীর দেউড়ি, লাভ লেন, নিউ মার্কেট, সদরঘাট ও মাদারবাড়ি পরিদর্শন করেন।

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজনকে নির্ধারিত সময়ের আগেই নগর পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেন মেয়র। তিনি তদারকির দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলরদের জোরদার তদারকির নির্দেশনা দেন।
মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, বিকেলে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কোরবানি বর্জ্য প্রায় পরিষ্কার করা হয়ে গেছে।

মেয়র বলেন, এবার যেহেতু ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে, সে জন্য বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে আলাদা সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। কোথাও যাতে বর্জ্য বা পানি জমে না থাকে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের লোকজনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নগর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরণ, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কান্তি দাশ, সুদীপ বসাকসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিটির সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এ বছর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শতভাগ সফল হয়েছে। নগরের প্রধান সড়ক পরিষ্কার করতে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হলেও চারটার মধ্যেই ৯৫ শতাংশ সড়ক ও ডাস্টবিন পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছে। আর পাঁচটার মধ্যে বাকি সড়কগুলোও পরিষ্কার করা হয়ে গেছে।

শৈবাল দাশ জানান, বিভিন্ন অলিগলিতে যেখানে আবর্জনাবাহী বড় গাড়িগুলো প্রবেশ করতে পারে না, সেখানে ছোট ছোট ভ্যানগাড়ি, টমটম গিয়ে ডাস্টবিন, সড়ক পরিষ্কার করে একটি স্থানে জমা করে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে বড় গাড়ি গিয়ে বর্জ্যগুলো নিয়ে যাবে।
নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে ৪টি জোনে ভাগ করে চারজন কাউন্সিলরের তত্ত্ববধানে এ বছর বর্জ্য অপসারণের কাজ করার ঘোষণা দিয়েছিল সিটি করপোরেশন।
এ জন্য সিটি করপোরেশন থেকে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করা হয়েছে। রাত ১০টার পর কোনো স্থানে কোরবানির বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা গেলে ০৩১-৬৩০৭৩৯, ৬৩৩৬৪৯, ০১৭১২২৫২৬১৫, ০১৬৭৫২১৮৪৮৫ নম্বরে ফোন করে নিয়ন্ত্রণকক্ষে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে করপোরেশনের পক্ষ থেকে।