গাছের চারাগুলোর দোষ কী!

আমগাছের এসব চারা কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। হাটহাজারী, চট্টগ্রাম, ১৯ আগস্ট। ছবি: সংগৃহীত
আমগাছের এসব চারা কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। হাটহাজারী, চট্টগ্রাম, ১৯ আগস্ট। ছবি: সংগৃহীত

চার একর পাহাড়ি টিলা ভূমিতে ফলদ বাগান করেছিলেন মোহাম্মদ সিরাজদ্দৌলা বাবুল। কিন্তু তিন দফায় তাঁর কয়েক শ ফলদ গাছের চারা কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। সর্বশেষ গতকাল রোববার রাতে কেটে ফেলা হয় ছয় শর মতো আমগাছের চারা!

ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে চারিয়া গ্রামের পশ্চিমের পাহাড়ে। বাগানমালিকের দাবি, এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই জমির সীমানা নিয়ে তাঁর দ্বন্দ্ব রয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিটমাটও হয়েছিল। তাঁর ধারণা, এসব গাছ কাটার সঙ্গে ওই ব্যক্তি সম্পৃক্ত।

স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ওই এলাকায় চার একর টিলা ভূমিতে আম, লিচু, লেবুসহ বিভিন্ন ফলদ চারা রোপণ করেন মোহাম্মদ সিরাজদ্দৌলা বাবুল। বাগান করার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত তিনবার চারা কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। সিরাজদ্দৌলা মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী।

সিরাজদ্দৌলা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শখের বসে আমি ও আমার দুবাইপ্রবাসী ভাই মোহাম্মদ ইয়াছিন মিলে ক্রয় করা চার একর টিলা ভূমিতে ২০১৭ সালে এই ফলদ বাগান করি। রাজশাহী থেকে এনে চার হাজার আমগাছের চারা রোপণ করি। সঙ্গে এক হাজার লিচু ও এক হাজার লেবুসহ অন্যান্য ফলদ চারাও রোপণ করা হয়। কিন্তু দুর্বৃত্তের হাত থেকে বাগানটি রক্ষা করতে পারছি না। গতকাল দিবাগত রাতেও ছয় শ আমগাছের চারা কেটে ফেলা হয়েছে। এর আগের দুইবারও কয়েক শ আমগাছের চারা কাটা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে শত্রুতা করুক, গাছের সঙ্গে কিসের শত্রুতা।’ এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান সিরাজ।

হাটহাজারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ ওয়াহেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুনেছি চারিয়া গ্রামের পশ্চিমের পাহাড়ে দুর্বৃত্তরা একটি আমবাগানের চারা কেটে ফেলেছে। তদন্তে ওই এলাকায় লোক পাঠানো হয়েছে।’

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দীন জাহাংগীর প্রথম আলোকে বলেন, বাগানের চারা কেটে ফেলেছে, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।