বিতর্কের মুখে পোস্টার ও অনুষ্ঠানের কথা অস্বীকার ছাত্রলীগের

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের নামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের পোস্টার নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর সংগঠনটি বলছে, এর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই৷ যদিও অনুষ্ঠানসংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এই অনুষ্ঠান ও পোস্টারের সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের উদ্যোগে ২২ আগস্ট রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পবিত্র কোরআন খতম, হামদ-নাত পরিবেশনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজনের একটি পোস্টার গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দেয়াল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়। এরপর থেকে এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পোস্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিল না। পোস্টারে একজন ‘বিতর্কিত’ কবির নাম থাকায় বেশি বিতর্ক হচ্ছে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের অনেকেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে এই পোস্টার নিয়ে সমালোচনা করেন।

এমন পরিস্থিতিতে গত সোমবার রাতে ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই অনুষ্ঠান ও পোস্টারের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ওই অনুষ্ঠান ও পোস্টারের ব্যাপারে জ্ঞাত নন। তবে ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, সমালোচনার মুখে বিতর্ক এড়াতে অনুষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করে বিজ্ঞপ্তিটি দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসানের সঙ্গে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শেখ আবদুল্লাহর কথোপকথনের একটি রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে৷ তাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির অনুমতি নিয়েই অতিথি তালিকা ও পোস্টার বানানো হয়েছে বলে মাহমুদকে দাবি করতে শোনা যায়৷ তবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মাহমুদকে পাওয়া যায়নি।

পোস্টারে বিশেষ অতিথি হিসেবে আটজনের নাম রয়েছে। তাঁদের একজন গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ২ আগস্ট কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একজন উপদপ্তর সম্পাদক তাঁকে ফোন করে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান।

পোস্টার নিয়ে বিতর্ক শুরুর পর থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মুঠোফোনে কল করলে সাড়া দিচ্ছেন না৷ সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব গতকাল বলেন, কওমি মাদ্রাসার কিছু শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে এসে অনুষ্ঠান করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু হামদ-নাত অংশটি সম্পর্কে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে জানানো হয়নি।