সিলেটে হবে আরবান হাসপাতাল

আরিফুল হক চৌধুরী
আরিফুল হক চৌধুরী

সিলেট নগরের নাগরিকদের চিকিৎসাসেবায় একটি ‘আরবান হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আরবান হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালুর জন্য ইতিমধ্যে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। নগরের কুমারপাড়ায় এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা আধুনিক হবে এবং এতে নগরবাসী গুরুত্ব পাবেন।’

‘সিলেট প্রাইভেট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গত বৃহস্পতিবার নগরের একটি রেস্তোরাঁর হলরুমে এই সভা হয়। সভায় সিলেট নগরে বেসরকারি হাসপাতাল ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রগুলোর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি বর্ধিতকরণ, নিবন্ধন ফি নবায়ন ও মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে আলোচনা হয়। সংগঠনের সভাপতি নাসিম আহমদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী, সিলেটের সিভিল সার্জন হিমাংশু লাল রায়, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক আসাদউদ্দিন আহমদ, এফবিসিসিআই পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ। অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ জাকির আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান।

ক্লিনিক্যাল বর্জ্য বিষয়ে মেয়র বক্তৃতায় বলেন, নগরজীবনে ক্লিনিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি বড় বিষয়। সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সিলেটের হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষের সচেতনতার ফলে ক্লিনিক্যাল বর্জ্য নাগরিকদের জন্য কোনো বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে না। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আধুনিক পদ্ধতিতে এসব বর্জ্য অপসারণসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্জ্য অপসারণে কর নির্ধারণে বেসরকারি হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর মালিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশন কোনো ধরনের মুনাফা নয়, সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে চায়।

বিএমএর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, বর্তমানে শতকরা ৬৬ ভাগ স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে বেসরকারি খাত। হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকেরা শুধু ব্যবসায়ী নন, এই নগরের বাসিন্দা এবং নগর উন্নয়নে তাঁরা কাজ করছেন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিলেটের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিলেটের কোনো হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ ওঠেনি। আগামী দেড় মাস ডেঙ্গু প্রতিরোধে সজাগ থাকতে হবে। তিনি নিজ বাড়ি ও আঙিনা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।