বিমান পরিবহনে যাত্রী মারা গেলে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ

মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, তেজগাঁও, ঢাকা, ২৬ আগস্ট। ছবি: পিআইডি
মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, তেজগাঁও, ঢাকা, ২৬ আগস্ট। ছবি: পিআইডি

বিমান পরিবহনে কোনো যাত্রী মারা গেলে বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে প্রথম ধাপেই এক লাখ এসডিআরের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল নির্ধারিত মান) সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি। ক্ষতিপূরণ না দিলে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাকে অনধিক ১০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

এসব বিধান রেখে ‘আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন, ১৯৯৯) আইন, ২০১৯-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

সোমবার ১ এসডিআরের মূল্য ছিল ১ দশমিক ৩৮ ইউএস ডলার।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইনে যাত্রী ও কার্গো পরিবহনের ক্ষেত্রে বিমান সংস্থাগুলো দায়দায়িত্বকে আইনের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদি কোনো বিমান সংস্থা এই ক্ষতিপূরণ না দেয়, তাহলে বিমান সংস্থার মালিক, পরিচালকসহ বিমান সংস্থাকে আইন-নির্ধারিত জেল ও জরিমানা ভোগ করতে হবে। মন্ট্রিল কনভেনশন প্রয়োগ না হওয়ায় নেপালে ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ কম পাওয়া যায়।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা-২০১৯-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী পরিবেশবিষয়ক আইনকানুন ও বিধিবিধান, পরিবেশবান্ধব পরিচ্ছন্ন উৎপাদনের জন্য নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অর্থায়ন ও প্রণোদনার কথাও রয়েছে নীতিমালায়।

বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন আইনের খসড়া এবং পেটেন্ট কো-অপারেশন থ্রিটিতে (পিসিটি) বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও চেক রিপাবলিকের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য দ্বৈত করারোপণ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধসংক্রান্ত চুক্তির খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয় বৈঠকে। বৈঠকে গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের বাস্তবায়ন পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। এই সময়ে সাতটি বৈঠকে ৭২টি সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৯টি (প্রায় ৮২ শতাংশ)।

সভার শুরুতে ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা পুস্তক আকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করেছে মন্ত্রিসভা।