বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ২০ বছর আগেই দেশ উন্নত হতো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ছবি: প্রথম আলো
শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ছবি: প্রথম আলো

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, দেশ যখন কৃষি খাতে বিপ্লব করবে, তখন ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। তিনি বেঁচে থাকলে ২০ বছর আগেই দেশ উন্নত হতো।

আজ সোমবার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।

আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুরো এশিয়া মহাদেশে যে কয়টি দেশ আছে তার মধ্যে বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি। এটি সম্ভব হয়েছে কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে চলি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কৃষি খাতে দেশের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। বঙ্গবন্ধু কৃষি বিপ্লব করার কারণে জমির খাজনা মাফ করে দিলেন। আমাদের তখন সম্পদ নেই, আয় নেই, রাজস্ব নেই। দেশ যখন কৃষি খাতে বিপ্লব করবে তখন ঘাতকেরা তাঁকে হত্যা করে। আজকে যদি বঙ্গবন্ধুকে দুর্বৃত্তরা হত্যা না করত, তাহলে দেশ আরও ২০ বছর আগে উন্নত হতো।

অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্ট নিহতদের রুহের মাগফিরাত এবং সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সুস্থতা কামনায় মোনাজাত করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকেরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলবে। ওই ঘাতক খুনি মোশতাক আর জিয়ারা জানত না যে মৃত মুজিব আরও বেশি শক্তিশালী।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে যে হত্যা করা হয়েছে- এটা সংবিধান সংশোধন করে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানি চিন্তাধারায় পাঠানোর পুরোপুরি চেষ্টা করা হয়েছিল।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার এক বছরের মধ্যে দেশের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ন করেন। সেক্যুলারিজমকে যদি সংবিধানে না নিয়ে আসতেন তাহলে বাংলাদেশে পাকিস্তানের মতো অবস্থা হতে পারত।

জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য জাতির স্বার্থকে কখনো বিসর্জন দেননি। এ জন্য তিনি জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।

বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সেক্রেটারি বেনজির আহমেদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বিশেষ উপদেষ্টা ইমরান রহমান, ইউল্যাবের উপাচার্য এইচ এম জহিরুল হক, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আলী নকি, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম লুৎফর রহমান।