সরিষাবাড়ীর প্যাড়ার স্বাদ নিয়েছেন?

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর জনপ্রিয় মিষ্টি প্যাড়া।  ছবি: প্রথম আলো
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর জনপ্রিয় মিষ্টি প্যাড়া। ছবি: প্রথম আলো

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় গেছেন আর প্যাড়ার স্বাদ নেননি, এমন কাউকে কি খুঁজে পাওয়া যাবে? বোধ হয় না। প্যাড়া সন্দেশ এ অঞ্চলের গর্ব। যাঁরা এর ভক্ত, তাঁরা রীতিমতো ফরমাশ দিয়ে আনিয়ে নেন এ মিষ্টি।

সরিষাবাড়ীর অধিকাংশ মিষ্টি ব্যবসায়ী জানান, এ প্যাড়া তাঁরা বাপ–দাদার আমল থেকেই তৈরি করে আসছেন। তবে প্যাড়া তৈরির কৌশল কঠিন না হওয়ায় সরিষাবাড়ীর প্রায় সব কটি মিষ্টির দোকানেই এখন প্যাড়া তৈরি হয়।

পৌর শহরের শিমলাবাজারের কালাচাঁদ মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক অনীল কুমার ঘোষ জানান, দুধ ও চিনিই প্যাড়া তৈরির মূল উপাদান। এক কেজি প্যাড়া তৈরিতে চার কেজি দুধ লাগে। এরপর সে দুধ আগুনে জ্বাল দিয়ে আধা কেজি ক্ষীর বানাতে হয়। পরে আধা কেজি ক্ষীরে আধা কেজি চিনি মিশিয়ে প্যাড়া বানানো হয়।

অনীল কুমার আরও জানান, তাঁর দোকানের প্যাড়া দেশের বাইরেও নিয়ে যান ভোজনরসিকেরা। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইতালি, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, আরব আমিরাত জাপান প্রভৃতি দেশে এই অঞ্চলের প্রবাসীদের কাছে যায় প্যাড়া।

প্রতি কেজি প্যাড়া বর্তমানে সাড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজিতে ৭০ থেকে ৭২টি প্যাড়া হয়। সরিষাবাড়ীতে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ কেজি প্যাড়া বিক্রি করা হয় বলে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানান।

মধু মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মধুসূদন চন্দ জানান, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রতিদিন ১০০ কেজি প্যাড়া দেওয়া হয়। দিন দিন প্যাড়ার চাহিদা বাড়ছে। মধু মিষ্টান্ন ভান্ডারের বয়স ১২০ বছর। এখনো খুব ভালোভাবে চলছে দোকানটি।