পৌরসভা মেয়রের এক বছর কারাদণ্ড, আপিল শর্তে জামিন

এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পর হাতকড়া পরিয়ে আদালত হাজতে নেওয়া হয় হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের নেতা শাহীনূর আলম রিন্টুকে। অবশ্য পরে তাঁকে আপিল শর্তে জামিন দিয়েছেন আদালত। ঝিনাইদহ, ২৯ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো
এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পর হাতকড়া পরিয়ে আদালত হাজতে নেওয়া হয় হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের নেতা শাহীনূর আলম রিন্টুকে। অবশ্য পরে তাঁকে আপিল শর্তে জামিন দিয়েছেন আদালত। ঝিনাইদহ, ২৯ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো

পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীকে মারপিটের দায়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের নেতা শাহীনূর আলম রিন্টুকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অবশ্য পরে তাঁকে আপিল শর্তে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ বিচারিক হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক এম এ আজহারুল ইসলাম এই দণ্ডাদেশ দেন। মামলার অপর আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ফারুক ইমাম, মুকুল হোসেন, সেলিম রেজা, শরিফুল ইসলাম শামিম ও বিপুল হোসেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই রাত ৯টার দিকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌরসভা এলাকার দ্বীগনগর বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে এলাকায় বিদ্যুৎবিভ্রাট চলছিল। এর কারণ জানতে চেয়ে পল্লী বিদ্যুতের ওই এলাকায় কর্মরত লাইনম্যান ইউসুফ আলীকে মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঝিনাইদহের এজিএম (প্রশাসন) ইমরুল হাসান মাসুদ বাদী হয়ে পৌর মেয়র শাহীনূর আলম রিন্টুসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিচারক এই দণ্ডাদেশ দেন।

রায় ঘোষণার পর পৌরসভার মেয়রকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। পরে আপিল শর্তে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। মামলাটির আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বাদীপক্ষে ছিলেন আবু তালেব ও সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) স্বপন কুমার মিত্র।