যুদ্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চাই না: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে। ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতি ঐক্যবদ্ধ আছে। এর জন্য বিএনপির জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন নেই এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ যুদ্ধ করতে চায় না’ বলেও জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে। সারা বিশ্ব এখন মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ। এখন এই ঐক্যে ফাটল ধরাতে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে।

সেতুমন্ত্রী আজ বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বিএমএ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে । এতে সভাপতিত্ব করেন বিএমএ এর সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বিএমএ মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য শহীদুল্লাহ সিকদার, বিএমএ এর নেতা শরফুদ্দিন আহমেদ, শফিকুর রহমান, জামালউদ্দিন খলিফা, মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

কাদের বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এতে আপনারা কখনো সাড়া পাবেন না। আপনাদের জাতীয় ঐক্য করতে হবে না। এই ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য আছে। আপনারা কি চান মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে। আমরা যুদ্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চাই না। কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে, সূক্ষ্ম কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে। ’
তিনি আরও বলেন, বিদেশি দূতাবাসের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির নেতারা বৈঠক করেন। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারকে চাপ দিতে গত দুই বছর কূটনীতিকদের কাছে বিএনপির নেতাদের কোনো কথা বলতে শুনিনি। এ সমস্যা নিয়ে কোনো দিন তারা কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এখন বলছে সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গারা ফেরত যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, সরকার সারা বিশ্বে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর বিদেশি চাপ অব্যাহত আছে, এই চাপ আরও বাড়বে।
‘সেখানে কিছু এনজিও লাগিয়ে দোয়া হয়েছে। এই এনজিওরা চক্রান্ত করছে।’ ফখরুল সাহেবদের কি আঁতাত হয়েছে এই এনজিওদের সঙ্গে প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তারা বিশৃঙ্খলা করতে চায়, এটাই তাদের লক্ষ্য। একের পর এক ব্যর্থ হয়ে এখন তারা উন্মাদের মতো ইস্যু খুঁজছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেড় বছর জেলে। এ নিয়ে দেড় মিনিটও তারা আন্দোলন করতে পারেনি। অনেক দলের অনেক ব্যর্থতা আছে, কিন্তু বিএনপির মতো এমন ব্যর্থ দল আর নেই। কোনো ইস্যু না পেয়ে এখন রোহিঙ্গাদের ওপর ভর করেছে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পলাশিতে নবাবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল সেনাপতি মীর জাফর, ইয়ার লতিফ। আর ১৫ আগস্ট বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিল মোস্তাক ও সেনাপতি জিয়াউর রহমান। পণেরই আগস্টের মাস্টার মাইন্ড জিয়া আর একুশে আগস্টের মাস্টার মাইন্ড তারেক।