১০ বছরে ১২০৯ গুম: বিএনপি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২০৯ জন গুমের শিকার হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, বর্তমান সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা দীর্ঘস্থায়ী করতে গুমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন রিজভী।

৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। দিবসটির প্রসঙ্গ টেনে রিজভী দাবি করেন, ১ হাজার ২০৯ জনের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গুমের সংখ্যা ৭৮১ জন। এঁদের মধ্যে বিএনপি ও তার অঙ্গ-সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মী রয়েছেন।

অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাসের ‘বাংলাদেশ এ লিগেসি অব ব্লাড’ বইয়ের সূত্র উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এ দেশে গুমের ঘটনার সূত্রপাত ঘটে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে।

বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সূত্র উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, যে সব মানুষ নিখোঁজ হয়েছে, তার বেশির ভাগই বিরোধী দল বিএনপির সদস্য।

রিজভীর ভাষ্য, জনগণ শোক জানাতেও ভয় পাচ্ছে। গুমকে ব্যবহার করা হচ্ছে বিরোধী দল ও মত নির্মূল করে রাষ্ট্র-সমাজে একমাত্রিকতা, কর্তৃত্ববাদী ও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য। বর্তমান সরকার গুমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকার গুমের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বলে দাবি রিজভীর। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদ ছাড়া কাউকে গুম করা অসম্ভব। গুম ও ক্রসফায়ারের মতো গুরুতর অপরাধের ঘটনাগুলোয় সমাজে, সংবাদমাধ্যমে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও তাতে সরকারের টনক নড়ে না।

রিজভী বলেন, গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও তাদের মদদ দানকারীরা বিচারের আওতার বাইরে থাকবে না। প্রতিটি গুমের তদন্ত ও বিচার একদিন হবে।