গ্রামছাড়াদের ৮০ শতাংশ ঢাকা-চট্টগ্রামের পথ ধরেন

রাজধানী ঢাকা। ফাইল ছবি
রাজধানী ঢাকা। ফাইল ছবি

কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বিয়ের কারণে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিনিয়ত গ্রাম থেকে শহরে যাচ্ছেন। গ্রাম থেকে যাঁরা শহরে আসছেন তাঁদের ৮০ শতাংশেরই গন্তব্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হওয়ার কারণেই এমন অভিবাসন হচ্ছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা—আইওএম।

আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানের ধারণাপত্রে এসব কথা বলা হয়। ‘সরবরাহ প্রক্রিয়ায় শ্রমের নৈতিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইওএম ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম। বাংলাদেশের অভিবাসন ও শ্রম খাত সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বর্তমান পরিস্থিতির ধারণা দিতেই এ অনুষ্ঠান।

ধারণাপত্রে বলা হয়, প্রতিবছর অনেক মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছেন। কেবল ২০১৮ সালেই ৭ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বিদেশে গেছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও দেশের বাইরের অভিবাসনে অনেক জটিলতা আছে। নৈতিক নিয়োগ বিষয়ে সচেতনতার অভাব, সঠিক নিয়ম-নীতির প্রয়োগ না থাকা ও ব্যবসা পরিচালনায় সক্ষমতার অভাবে শ্রমিকেরা ঝুঁকিতে আছেন।

আইওএম বাংলাদেশের সহকারী মিশনপ্রধান ডিমাঞ্চ শ্যারন বলেন, শ্রম ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যদি টেকসই সোর্সিং এবং নৈতিক নিয়োগ নিশ্চিত করে, তাহলে বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব বৃদ্ধি করবে।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ মুনিরুস সালেহীন বলেন, অভিবাসন খাতে শ্রমের অনৈতিক ব্যবহার আছে। তবে এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে দেখভাল করার জন্য আইনি কাঠামোও আছে।

বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেন, পোশাক খাতে কিছু সমস্যা আছে। তবে পরিমাণ ও গুণ বিচারে এটা খুবই সামান্য। এই ক্ষেত্রের উন্নয়নে অনেক কিছু করার আছে। এ জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রেজাউল হক, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, বিজিএমইএর পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম, চামড়াজাত পণ্য, জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির নির্বাহী পরিচালক কাজী রওশন আরা, আইএমওর লেবার মোবিলিটি ও হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের প্রধান মারিনা মানকি প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।