ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ, ১৩ জন আটক

ঝুঁকি নিয়ে কোনো ব্যক্তি ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করলে তাঁর এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। প্রথম আলো ফাইল ছবি
ঝুঁকি নিয়ে কোনো ব্যক্তি ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করলে তাঁর এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। প্রথম আলো ফাইল ছবি

ট্রেনের ছাদে চড়ে ভ্রমণের অপরাধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় ১৩ জনকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে দুটি ট্রেন থেকে ১৩ জনকে আটক করা হয়। আদালতের মাধ্যমে আজ সোমবার দুপুরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সারোয়ার হোসেন (২০), রিয়াজুল ইসলাম (২০), মারুফ (১৮), এমরান মিয়া (১৮), ফয়সাল মিয়া (১৮), আশরাফুল ইসলাম (১৮), নাঈম (২০), অসীম উদ্দিন (৪৫), মো. সুমন (১৮), শাকিল মিয়া (২০), রাসেল মিয়া (১৮), এমরান উদ্দিন (১৮) ও সোহাগ মিয়া (১৫)।

স্থানীয় লোকজন ও রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ রোধে অভিযান শুরু করেছে রেলওয়ে পুলিশ। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী-ঢাকা রেলপথে চলাচলকারী ট্রেনে গতকাল রোববার দিবাগত রাত থেকে আজ সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালায় পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ঢাকাগামী আন্তনগর নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেন ও আজ সোমবার সকালে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদ থেকে মোট ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কান্তি দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘রেলওয়ে পুলিশের ঘোষিত কর্মসূচির আওতায় ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ এড়াতে এ অভিযান চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে গত শুক্রবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ট্রেনের ছাদে উঠে ভ্রমণ করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ঝুঁকি নিয়ে কোনো ব্যক্তি ট্রেনে ভ্রমণ করলে তাঁর এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সাজা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ১২৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী ‘যদি কোনো ব্যক্তি বিপজ্জনক বা বেপরোয়া কার্যের দ্বারা অথবা অবহেলা করে কোনো যাত্রীর জীবন বিপন্ন করেন, তবে তাঁর এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা জরিমানা কিংবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।’

আরও পড়ুন....