প্রথম আলো চর ঘুরে দেখল তরুণের দল

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় প্রথম আলো চরের বটতলায় বক্তৃতা করছেন গ্রিন ভয়েসের প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর কবির। গতকাল আলোর পাঠশালায়।  ছবি: প্রথম আলো
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় প্রথম আলো চরের বটতলায় বক্তৃতা করছেন গ্রিন ভয়েসের প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর কবির। গতকাল আলোর পাঠশালায়। ছবি: প্রথম আলো

কুড়িগ্রামে প্রথম আলো চর ঘুরে গেলেন সারা দেশ থেকে আসা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। তাঁরা পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েসের সদস্য। গতকাল রোববার তাঁরা নৌকায় করে প্রথম আলো চরে যান। সেখানে আলোর পাঠশালার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ চরবাসী তাঁদের অভ্যর্থনা জানান।

এর আগে শুক্রবার সকালে গ্রিন ভয়েসের সদস্যরা কুড়িগ্রামে এসে সৈয়দ শামসুল হকের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর তাঁরা সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বলদিপাড়ায় ফলের চারা বিতরণ করেন। এ সময় তাঁরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তিনজন কৃষকের ঘর তৈরির উপকরণ বিতরণ করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার, সদস্য ময়েন উদ্দিন ভোলা, ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা মনসুর আলী, গ্রিন ভয়েসের প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর কবির, রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক মুনসাফা, সেফটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সাখওয়াত প্রমুখ। পরদিন শনিবার কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে বৃক্ষ রোপণ করেন তাঁরা। বিকেলে স্টেডিয়ামে ‘যুবরাই গড়বে সবুজ বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়।

গতকাল সকালে নৌকায় করে প্রথম আলো চরে যান গ্রিন ভয়েসের সদস্যরা। সেখানে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত আলোর পাঠশালার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও চরবাসী তাঁদের অভ্যর্থনা জানান। পরে অতিথিরা চর ঘুরে দেখেন। চরবাসীদের সঙ্গে তাঁরা সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। পরে আলোর পাঠশালায় একটি বৃক্ষ রোপণ করা হয়। দুপুর ১২টায় পাঠশালার বটতলায় মতবিনিময় সভা হয়।

সভায় চরের বাসিন্দা ফজলার রহমান সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন চরের বাসিন্দা আবু বক্কর ও সহিদুল ইসলাম, গ্রিন ভয়েসের আলমগীর কবির ও মুনসাফা তৃপ্তি, প্রথম আলোর কুড়িগ্রাম বন্ধুসভার সভাপতি মোখলেছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আসিফ ওয়াহিদ, সমন্বয় পরিবারের সমন্বয়ক হাফিজ উদ্দিন ও প্রথম আলোর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি সফি খান।

আলমগীর কবির সভায় বলেন, ‘বহুদিন আগে এ চরের নাম শুনেছি। ইচ্ছা ছিল এখানে আসার। তা পূরণ হলো। চরের মানুষ, বিদ্যালয়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে আমি মুগ্ধ। তিন দিকে দুধকুমার, গঙ্গাধর ও ব্রহ্মপুত্র। মাঝখানে চর। অসাধারণ।’