অস্বচ্ছতার অভিযোগে বিমান কর্মকর্তার চুক্তি বাতিল, আরেকজন বরখাস্ত

ইজিপ্ট এয়ারের দুটি উড়োজাহাজ ফেরত পাঠাতে অস্বচ্ছতা ও অসহযোগিতার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চিফ ইঞ্জিনিয়ার গাজী মাহমুদ ইকবালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিমানের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে একই অভিযোগে বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট) খন্দকার সাজ্জাদুর রহিমের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে তাঁকে চাকরি থেকে অবহিত দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, বিমান ২০১৪ সালের মার্চে ইজিপ্ট এয়ার থেকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর ইজারা নেয়। বিমানবহরে একটি যুক্ত হয় ওই বছরের মার্চ মাসে। ওই বছরের মে মাসে আরেকটি আসে। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল করতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে আবারও ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে গ্রাউন্ডেড থাকে উড়োজাহাজ দুটি। গত ডিসেম্বরে নষ্ট হয় ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও। পরে ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এদিকে ভাড়া হিসেবে ১১ কোটি টাকা করে প্রতি মাসে গুনতে হয়েছে বিমানকে। এর মধ্যে একটি বিমান ১৬ জুলাই ফেরত পাঠাতে পেরেছে বিমান।

এদিকে মঙ্গলবারের এই সভায় বিমানের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইনামুল বারী। বিমানের সচিবও এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে বিমানের একটি সূত্রে জানা গেছে, আপাতত বিদেশি কাউকে এমডি পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। যদিও জানা গেছে, এই পদে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ৭০ জন ইতিমধ্যেই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। গত ৩০ এপ্রিল নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে পদত্যাগে বাধ্য করা হয় বিমানের তৎকালীন এমডি মো. মোসাদ্দেক হোসেনকে। বর্তমানে বিমানের ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিমানের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশনস) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল।