বৈঠকের পর ফেরত পাঠানো হলো মিয়ানমারের ৪ পুলিশকে

মিয়ানমারের চার পুলিশ সদস্যকে হস্তান্তরের জন্য বিজিবি ও মিয়ানমারের বিজিপির মধ্যে দেড় ঘণ্টার পতাকা বৈঠক হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান, ৪ সেপ্টেম্বর। ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের চার পুলিশ সদস্যকে হস্তান্তরের জন্য বিজিবি ও মিয়ানমারের বিজিপির মধ্যে দেড় ঘণ্টার পতাকা বৈঠক হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান, ৪ সেপ্টেম্বর। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে অস্ত্রসহ আটক মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) চার সদস্যকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে দিয়ে আজ বুধবার দুপুরে তাদের হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের মৈত্রী সেতুর কাছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে দেড় ঘণ্টা পতাকা বৈঠক হয়। সেখানে বিজিবি কর্মকর্তারা টেকনাফে আটক চার বিজিপি সদস্যকে অস্ত্রসহ বিজিপি কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন।

এই চার বিজিপি সদস্য হলেন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর নাগকুড়া ব্যাটালিয়নের মেগচিং ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন লি উইন কো ম্যায়েং (৩০), সার্জেন্ট ইয়ানাং তুন (৩১), সার্জেন্ট প্যায়াং গি (২৫) ও সিপাহী ক্য ক্য (২৮)।

আজ দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া পতাকা বৈঠকে ১২ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সাল হাসান খান।

অন্যদিকে ১০ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সেদেশের বিজিপি ১ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ক্য উইন। বেলা দেড়টার দিকে বৈঠক শেষ হয়।

প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ। তিনি বলেন, ২৫ আগস্ট রাতে টেকনাফের নাজিরপাড়া সংলগ্ন নাফ নদীর সীমান্ত থেকে বিজিবির সদস্যরা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওই চার সদস্যকে আটক করেছিল। সেই সময় তাদের কাছ থেকে একটি এমএ-১১ রাইফেল, ১০টি গুলি, ১টি টর্চলাইট ও ৫টি মোবাইল জব্দ করা হয়। এ ছাড়া বিজিপির সদস্যদের বহনকারী একটি স্পিড বোটও জব্দ করা হয়েছিল।