অপ্রাপ্তবয়স্ক এক আসামির জামিন

রিফাত শরীফ হত্যা
রিফাত শরীফ হত্যা

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন এক অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দুই দফা এই জামিন শুনানি হয়। পরে দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বিকেল ৪টার দিকে বিচারক আছাদুজ্জামান তার জামিন মঞ্জুর করেন।

বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় এই আসামিসহ ছয় আসামি যশোর শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে। আজ সকালেই তাদের জেলা কারাগার থেকে যশোরে পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বরগুনার জেল সুপার আনোয়ার হোসেন। জামিন পাওয়া এই কিশোর আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে এই কিশোরের জামিন শুনানি শুরু হয়ে ১০ মিনিট চলার পর আদালত তা মুলতবি করেন। এ সময় বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নথি নিয়ে আদালতে তলব করেন। বেলা তিনটার পর পুনরায় শুনানি শুরু হয়। এই আসামির পক্ষে জামিন শুনানিতে ১০ জন আইনজীবী অংশ নেন। তবে অপর এক আসামি কামরুল হাসান সাইমনের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে ২৪ জুলাই বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে এই কিশোরের জামিন আবেদন করা হলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইয়াসিন আরাফাত তা নামঞ্জুর করেন।

গত ৮ জুলাই সকালে রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে এই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন বিকেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। পরে দুই দফা রিমান্ড শেষে ১৮ জুলাই রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে।

গত ২৬ জুন সকালে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাকে বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে আনতে যান তাঁর স্বামী রিফাত শরীফ। এ সময় কলেজের মূল ফটকের সামনে থেকে ধরে নিয়ে কোপানো হয় তাঁকে। স্থানীয় লোকজন রিফাতকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই দিন বিকেলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম বাদী হয়ে ২৭ জুন বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন। এই মামলায় নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাসহ গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা ১৫ জন। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পান আয়শা। তবে এজাহারভুক্ত চার আসামি এখনো গ্রেপ্তার হননি।