দুর্নীতি দমন-প্রতিরোধে দুদকের পদক্ষেপ কার্যকর ও বহুমুখী

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন (আনকাক) ইমপ্লিমেন্টেশন রিভিউ গ্রুপের সম্মেলনের দশম সেশনে বক্তব্য দিচ্ছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন (আনকাক) ইমপ্লিমেন্টেশন রিভিউ গ্রুপের সম্মেলনের দশম সেশনে বক্তব্য দিচ্ছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে কার্যকর ও বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আর এটা কমিশনের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে বিকশিত করছে। 

আজ বুধবার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন (আনকাক) ইমপ্লিমেন্টেশন রিভিউ গ্রুপের সম্মেলনের দশম অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন বহুমুখী কর্মপ্রয়াসের অংশ হিসেবে নতুন সাংগঠনিক কাঠামো গ্রহণ করেছে, যা আগের সাংগঠনিক কাঠামোর প্রায় দ্বিগুণ। এ ছাড়া কমিশন সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষণ অনুবিভাগ গঠন করেছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ে সর্বাত্মক ও বহুমুখী কর্মপ্রয়াস প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাঠামোগত সংস্কার এবং সর্বস্তরে দক্ষ ও বিশেষায়িত স্বতন্ত্র সংস্থা গঠন করা।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদ বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশনের সক্ষমতা বিকাশে আনকাকের কারিগরি সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয়ে অনুসন্ধান, ফরেনসিক অ্যাকাউন্টিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আজকের আলোচনায় কোস্টারিকার আলোচকেরা বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির গঠন ও এর কার্যক্রমকে অনুকরণীয় বলে ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন সংস্থাটির কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম।