'মোজাফফর আহমদ ছিলেন আদর্শিক রাজনীতির বাতিঘর'

অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ স্মরণে শোকসভায় বক্তব্য দেন সিলেট জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি বেদানন্দ ভট্টাচার্য। সিলেট, ৭ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো
অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ স্মরণে শোকসভায় বক্তব্য দেন সিলেট জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি বেদানন্দ ভট্টাচার্য। সিলেট, ৭ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো

সদ্য প্রয়াত অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ছিলেন আদর্শিক রাজনীতির বাতিঘর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হারিয়েছে রাজনীতির সর্বশেষ বটবৃক্ষকে। তিনি ছিলেন নির্লোভ একজন রাজনীতিবিদ। স্বৈরশাসনের সঙ্গে তিনি কোনো দিন আপস করেননি। সুস্থ রাজনীতিচর্চার বিকাশে বাংলাদেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের এই কিংবদন্তির আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।

শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি ও মুজিবনগর সরকারের সর্বশেষ জীবিত উপদেষ্টা অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ স্মরণে সিলেটে এক শোকসভা হয়। এতে বক্তারা এসব কথা বলেছেন। জেলা বার লাইব্রেরিতে এর আয়োজন করে প্রগতিশীল দলগুলো।

সভায় বক্তারা বলেন, রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ৪৮ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ অনুপস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সেই বাংলাদেশ নির্মাণের পথে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ আমৃত্যু কাজ করেছেন। লক্ষ্য অর্জনে অবিচল সংগ্রামের পথে তিনি ছিলেন বরাবরের মতো আপসহীন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পথে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং মোজাফফরের নাম থাকবে ইতিহাসের সোনালি অধ্যায়ে। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক এই রাজনীতিক ছিলেন কিংবদন্তি।

জেলা ঐক্য ন্যাপের সভাপতি সুবল পাল সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, ‘মোজাফফর আহমদ না থাকলেও তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করেই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গঠনে সব প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তাঁর যৌবনে স্বাধীনতার পথচলার স্বপ্ন যে সীমিতসংখ্যক ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করতেন, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।’

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর ও জেলা গণতন্ত্রী পার্টির যুগ্ম সম্পাদক গুলজার আহমদের যৌথ সঞ্চালনে এ সভা হয়। সভার শুরুতেই প্রয়াতের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

শোকসভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সভাপতি বেদানন্দ ভট্টাচার্য, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাজউদ্দিন, গণফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনসার খান, গনতন্ত্রী পার্টি সিলেট জেলার সভাপতি আরিফ মিয়া, সহসভাপতি আইয়ুব আলী, ঐক্য ন্যাপ সিলেটের সহসভাপতি সুকেশ দেব, মুক্তিযোদ্ধা আক্রাম হোসেন, আটাব সিলেটের সভাপতি আবদুল জব্বার জলিল, সিপিবি সিলেটের সভাপতি হাসিবুল ইসলাম খোকা, জেলা ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস বাবুল, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সিলেট জেলার আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়, মহানগর জাসদের সদস্য আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, ন্যাপ নেতা বিদ্যুৎ দে প্রমুখ।