জামিন পেলেন মইনুল হোসেন

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ফাইল ছবি।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ফাইল ছবি।

মানহানির মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মইনুল হোসেন জামিন পেয়েছেন। আজ রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত জামিনের এই আদেশ দেন।

মইনুল হোসেনের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান রোববার প্রথম আলোকে বলেন, মইনুল হোসেনের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাঁকে জামিন দেন আদালত।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান প্রথম আলোকে বলেন, জামিন আবেদনে তিনি আদালতকে বলেন, মইনুল হোসেন অসুস্থ। তিনি একজন বৃদ্ধ মানুষ। যে অভিযোগে এই মামলা, তা জামিনযোগ্য। শুনানি শেষে আদালত মইনুল হোসেনকে জামিন দেন।

এর আগে মানহানির এই মামলায় ৩ সেপ্টেম্বর মইনুল হোসেন ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত সেদিন জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ২১ অক্টোবর মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা করেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি।
দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০৬ ও ৫০৯ ধারায় মইনুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। আদালত মাসুদা ভাট্টির মামলাটি আমলে নিয়ে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে কথা বলার একপর্যায়ে মইনুল হোসেন মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলে আখ্যায়িত করেন।
এরপর ওই বছরের ১৮ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক জানান, মইনুল হোসেন প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার পর গত বছরের ২২ অক্টোবর মইনুল হোসেন গ্রেপ্তার হন। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি মইনুল হোসেন মুক্তি পান।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি একাত্তর টেলিভিশনের টক শোতে আলোচকদের একজন ছিলেন মাসুদা ভাট্টি। একপর্যায়ে লাইভে যুক্ত হন আইনজীবী মইনুল হোসেন। এ সময় মইনুলের কাছে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না?’ মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার একপর্যায়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন।

এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মইনুল হোসেনের বক্তব্যের সমালোচনা করেন, তাঁর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।