২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছে কৃষ্ণার পরিবার

হাসপাতালের বিছানায় কৃষ্ণা রায়।  ফাইল ছবি
হাসপাতালের বিছানায় কৃষ্ণা রায়। ফাইল ছবি

ঢাকায় ট্রাস্ট পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো কৃষ্ণা রায়ের পরিবার দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি আইনি নোটিশ গতকাল রোববার ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ডাকমাধ্যমে পাঠিয়েছেন কৃষ্ণা রায়ের স্বামী রাধে শ্যাম। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাধে শ্যামের আইনজীবী ইমরান হোসেন।

ইমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষতিপূরণ দুভাবে চাওয়া হয়েছে। তাঁর (কৃষ্ণা) যে পারিবারিক দুর্ভোগ হয়েছে, সে জন্য এক কোটি টাকা। আর ব্যক্তিগতভাবে যে দুর্ভোগ হয়েছে, সে জন্য আরও এক কোটি টাকা। মোট দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।

ইমরান হোসেন জানান, আইনি নোটিশের কপি পাঠানো হয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি, বিআরটিএর চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর। তাঁদের বলা হয়েছে এই টাকা সংগ্রহ করে ভুক্তভোগীকে প্রদান করার জন্য।

কৃষ্ণা রায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) হিসাব বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক। গত ২৭ আগস্ট ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্টের বেপরোয়া গতির একটি বাস রাজধানীর বাংলামোটরে ফুটপাতে উঠে পড়ে। এতে কৃষ্ণা রায়ের হাঁটুর নিচ থেকে বাঁ পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাঁর জীবন রক্ষায় পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলেন। পরে সংক্রমণ হওয়ায় তাঁর হাঁটুর ওপরের কিছু অংশও কেটে ফেলা হয়।

কৃষ্ণা রায়ের বাঁ পা পিষে দেওয়া বাসের মালিক ও চালকের সহকারীকে ১২ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের ধরতে থানা-পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কাজ করছে। এর আগে গ্রেপ্তার বাসটির অনিয়মিত চালক মো. মোরশেদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি এখন কারাগারে আছেন।