মা-মেয়ে ধর্ষণ মামলায় গুলিবিদ্ধ আসামি গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় মা ও মেয়েকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার আসামিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রাম থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আসামির বাবাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামির নাম খোকন মিয়া (২৮)। তিনি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ধননগর গ্রামের বাসিন্দা। গুলিবিদ্ধ খোকনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খুলনার এক নারী (৩৪) খোকনের বিরুদ্ধে বিয়ের কথা বলে তাঁকে ধর্ষণ এবং মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মামলা করেন ।

পুলিশ ও মামলার নথি থেকে জানা গেছে, খুলনার ওই নারীকে বিয়ের কথা বলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওসমানীনগরে একসঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন খোকন মিয়া। গত ১৪ আগস্ট ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে ওই নারীর কিশোরী মেয়েকে (১৩) নিয়ে যান খোকন। এরপর থেকে দুজনের খোঁজ পাচ্ছিলেন না ওই নারী। মেয়ে নিখোঁজ উল্লেখ করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৪ সেপ্টেম্বর মেয়ে গোপনে মাকে ফোন করে জানায়, তাকে খোকন অপহরণ করে উমরপুরে নিয়ে গেছে এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। পরে ওই নারী গতকাল রাতে ওসমানীনগর থানায় মামলা করেন।

পুলিশের ভাষ্য, গতকাল রাত একটার দিকে পুলিশ আসামি ধরতে উমরপুরের কামালপুরে অভিযান চালায়। এ সময় কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। খোকনকে গ্রেপ্তার করে ফেরার পথে খোকনের বাবা জাহাঙ্গীর আলীর নেতৃত্বে একদল লোক আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে আসামি খোকনের ডান পায়ে গুলি লাগে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এসল্ট মামলা করে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আল মামুন প্রথম আলোকে জানান, কিশোরীকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ খোকনকেও হাসপাতালে ভর্তি করা রয়েছে। আর খোকনের বাবা জাহাঙ্গীর আলীকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।