সিআইএমএস অ্যাপস উদ্বোধন: অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বললেন ডিএমপি কমিশনার

নাগরিক তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির (সিআইএমএস) অ্যাপস উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
নাগরিক তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির (সিআইএমএস) অ্যাপস উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

নাগরিক তথ্য সংরক্ষিত থাকার কারণে মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটনে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজ সোমবার সকালে সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) বা নাগরিক তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির একটি অ্যাপস উদ্বোধনের সময় এ কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এই অ্যাপস উদ্বোধনকালে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, নাগরিক তথ্য সংরক্ষিত থাকার কারণে মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটনে যেমন সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি অপরাধ প্রতিরোধে ডিএমপির দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে তথ্য গোপন করে কিংবা ভুল তথ্য দিয়ে বাড়িভাড়া নেওয়া প্রায় অসম্ভব বিধায় অপরাধী, সন্ত্রাসী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সহজে বাড়িভাড়া নিতে পারছে না।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় শুরু হয় বিট পুলিশিং প্রথা। এর উদ্দেশ্য ছিল অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধি করে সমাজ থেকে অপরাধভীতি দূর করা এবং জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে পুলিশভীতি দূর করা। অপরাধ ব্যবস্থাপনার জন্য নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহের অংশ হিসেবে মহানগরে বসবাসরত নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় নাগরিক তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম। তথ্যের বহুবিধ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তুত করা হয় সিআইএমএস। এর যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর। এখন সিআইএমএসএর তথ্যভান্ডারে ৭২ লাখেরও বেশি নাগরিকের তথ্য সংগৃহীত আছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা যখন নাগরিক তথ্য সংগ্রহ শুরু করি, তারপর থেকে সাধারণ অপরাধ কমা শুরু করেছে। এমনকি হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর নগরীতে বড় কোনো জঙ্গি আস্তানা গড়ে ওঠেনি। এই পদ্ধতি চালু থাকায় জঙ্গি মোকাবিলায় ভূমিকা রেখেছে।’

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, নাগরিক তথ্য সংগ্রহপ্রক্রিয়া ডিজিটাল করার লক্ষ্যে সিআইএমএস অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে । যার ফলে তথ্য ডিজিটালি সংগ্রহ করা সম্ভব হবে, কর্মঘণ্টা কমে আসবে এবং জনবলের সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি ভুল তথ্য এন্ট্রি বা অসম্পূর্ণ তথ্য এন্ট্রি দেওয়া কমে আসবে, নগরবাসীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের দ্বার উন্মোচিত হবে ও বাড়িওয়ালা অথবা ভাড়াটের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

যেভাবে সিআইএমএস মোবাইল অ্যাপসে নাগরিক তথ্য নিবন্ধন করা যাবে :

প্রথমে Google Play Store এ গিয়ে CIMS DMP লিখে সার্চ দিয়ে অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে হবে তারপর login অপশনে নিজের ফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধনে ক্লিক করতে হবে। এরপর একটি ভেরিফিকেশন কোড মোবাইলে পাঠানো হবে। ভেরিফিকেশন কোড অ্যাকটিভ করে পাসওয়ার্ড সেট করে login করলে বিভিন্ন ক্যাটাগরি দেখা যাবে। এখান থেকে আপনার অপশনটিতে ক্লিক করলে একটি ফরম পাবেন। ফরমে প্রদত্ত ঘরে সব তথ্য নির্ভুলভাবে পূরণ করে সাবমিট করলে কাজ শেষ হবে। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। পূরণকৃত তথ্য সেন্ট্রাল ডেটাবেইসে যুক্ত হওয়ার আগে থানার অফিসার ইনচার্জ একজন নাগরিকের প্রদত্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে সঠিক থাকলে অ্যাপ্রুভাল দিলে CIMS এর মূল ডেটাবেইসে তাঁর তথ্য যুক্ত হবে। আর যদি কোনো কারণে কোনো ব্যক্তির ফরম পূরণ অসম্পূর্ণ হয় বা তথ্যে ভুল থাকে সে ক্ষেত্রে তাঁর মোবাইলে এসএমএস দিয়ে জানানো হবে।