বিএনবিসির চূড়ান্ত সংস্করণ গেজেট আকারে প্রকাশ হতে যাচ্ছে

বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের চূড়ান্ত সংস্করণ গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের কাছে হস্তান্তর করছে স্টিয়ারিং কমিটি। সচিবালয়, ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের চূড়ান্ত সংস্করণ গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের কাছে হস্তান্তর করছে স্টিয়ারিং কমিটি। সচিবালয়, ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের (বিএনবিসি) ২০১৭ (প্রকাশিতব্য ২০১৯) চূড়ান্ত সংস্করণ গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিএনবিসি প্রণয়নের জন্য গঠিত স্টিয়ারিং কমিটি আজ সোমবার সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর দপ্তরে শ ম রেজাউল করিমের কাছে চূড়ান্ত সংস্করণ হস্তান্তর করে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব রিসার্চ টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশনের (বিআরটিসি) সহযোগিতায় হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিএনবিসির চূড়ান্ত সংস্করণ তৈরি করেছে। এই বিল্ডিং কোড প্রণয়নের জন্য গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির এবং সদস্যসচিব ছিলেন হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার।

তিনটি ভলিউমের বিএনবিসির চূড়ান্ত সংস্করণ ২০১৯ সালে গেজেট আকারে প্রকাশ হতে যাচ্ছে। গেজেট প্রকাশের পর এটি অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে। গেজেট প্রকাশের পর বিএনবিসি ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সকল পেশাজীবীদের জন্য সুষ্ঠুভাবে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় অত্যন্ত সহায়ক হবে।

কারিগরি দিক থেকে বিএনবিসির বর্তমান সংস্করণ যুগোপযোগী ও সর্বাধুনিক তথ্যসমৃদ্ধ নীতিমালা। কাঠামো কৌশল, স্থাপত্য কৌশল, ভিত্তি কৌশল, অগ্নি প্রতিরোধ, প্লাম্বিং, তড়িৎ কৌশল, যন্ত্র কৌশল ইত্যাদি কারিগরি বিষয়ে এ কোডে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা রয়েছে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, এই কোড বাস্তবায়নের জন্য এতে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথোরিটি গঠনের প্রস্তাব সংযোজন করা হয়েছে।

বিএনবিসি গেজেট আকারে প্রকাশের পরে বাংলাদেশের সকল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে এটি মেনে চলা আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে।

এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন, রাজউকের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুর কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।