আ.লীগ থেকে বহিষ্কার, জামানতও হারালেন

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী জালাল উদ্দিন আহমেদ ও সালেহা ইসলাম জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচন থেকে সরে না যাওয়ায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী মো. আতাউর রহমান ৭৭ হাজার ৯৮২ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক দলীয়-সমর্থিত প্রার্থী মো. ইস্রাফিল হোসেন পান ৩৪ হাজার ৪২৪ ভোট। আর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি জালাল চার হাজার ৭৮৫ ভোট ও জেলা মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সদস্য সালেহা এক হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে জামানত হারান।
জালাল গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের গুজুরী গ্রামে তাঁর বাড়ির পাশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘৪৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। এ জন্য বহু অর্থ ব্যয় ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। কিন্তু কেবল স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুপাতো ভাই হওয়ার কারণে ইস্রাফিল হোসেনকে দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় তিনি (ইস্রাফিল) পরাজিত হয়েছেন।
জালাল উদ্দিন বলেন, ‘বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেবল দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের। কিন্তু যড়যন্ত্র করে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই বহিষ্কারাদেশ অবৈধ, অগণতান্ত্রিক ও অমানবিক।’
ওই সভায় কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হানিফ আলী, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, বেতিলা-মিতরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমানসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনির হোসাইন বলেন, মোট ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত (১০ হাজার টাকা) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।