সাক্ষীদের হাজির করা হয়নি, শুনানি পিছিয়েছে

বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আজ বুধবার আদালতে সাক্ষীদের হাজির করা হয়নি। এ কারণে সাক্ষ্য গ্রহণের শুনানির দিন পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত। আগামী ৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান।

এর আগে এই ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষীদের আজ আদালতে হাজির করা যায়নি। আগামী সাক্ষ্য গ্রহণের শুনানির দিন মামলার সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা হবে।

অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় গত ১ আগস্ট নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের পুরোনো নাম আনসারুল্লাহ বাংলা টিম।

আদালত সূত্র বলছে, অভিযোগ গঠনের দিন এই মামলার বাদীসহ তিনজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করার জন্য সমন জারি করা হয়। মামলার বাদী হলেন অভিজিৎ রায়ের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায়।

অভিজিৎ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন—আরাফাত রহমান ওরফে শামস ওরফে সাজ্জাদ, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল ওরফে সাকিব, আকরাম হোসেন আবির ওরফে আদনান ও শফিউর রহমান ফারাবী। আসামিদের মধ্যে জিয়াউল ও আকরাম পলাতক। অন্যরা গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে চাপাতির কোপে ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় খুন হন। এ সময় তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ আহত হন। অভিজিৎ ও রাফিদা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে তাঁরা দেশে এসেছিলেন। মেলা থেকে বেরিয়ে বাসায় ফেরার পথে তাঁরা হামলার শিকার হন। ওই ঘটনার পরদিন অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এই মামলা তদন্ত করে। তারা চলতি বছরের ১৩ মার্চ মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ১১ এপ্রিল আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে পলাতক আসামি জিয়াউল ও আকরামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি ও ক্রোকি পরোয়ানা জারি করেন।